সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাষন্ড মা তার দেড় বছর বয়সি শিশু কন্যা সন্তানকে বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা গ্রামে শিশুর নানার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম মোছাঃ খাজিদা খাতুন ( ১৮ মাস)। সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের মো. তহিদুর রহমানের মেয়ে। ঘাতক মায়ের নাম তানিয়া খাতুন ওরফে আসমা (৩০)। আসমা খাতুন বাটরা মিলপাড়া এলাকার আব্দুল মাজেদের মেয়ে ও কুশোডাঙ্গা গ্রামের তহিদুর রহমানের স্ত্রী।
বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদ জানান, এখন থেকে প্রায় ১০ বছর আগে তহিদুর রহমানের সাথে আমার মেয়ে আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দু’ছেলে-মেয়ে রয়েছে। বছর খানেক হলো মেয়েটির মাঝে মাঝে মানসিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়। একারণে জামাই তহিদুর ছেলে-মেয়েসহ তারস্ত্রীকে বাটরা গ্রামে আমার কাছে পাঠিয়ে দেয়। শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রান্নাঘরের বটি দিয়ে দেড় বছর বয়সী মেয়ে খাদিজা খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করে। তাকে হত্যার পর ৫ বছর বয়সী ছেলেটাকে গলা কেটে হত্যা করতে উদ্যত হলে আমার স্ত্রী আলেয়া খাতুন পাশের বাড়ি থেকে এসে তাকে নিবৃত করে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান ঘটনারসত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে শিশু মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া নিজ সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগে আছমা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনা মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।
সবুজদেশ/এসইউ