ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মারাকানায় চিলির বিপক্ষে ব্রাজিলের বড় জয়

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৫:৫০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে।

 

ঘরের মাঠ বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে ব্রাজিল। তারা ৩-০ গোলে হারিয়েছে চিলিকে। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছেন এস্তেভাও, লুকাস পাকেতা ও ব্রুনো গিমারায়েস। এই জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৭ ম্যাচ থেকে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ব্রাজিল। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা।

আগেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। অন্যদিকে উত্তর আমেরিকায় যেতে পারার স্বপ্ন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে চিলির। তাই রিও দে জেনেইরোর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই দুই দলের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।

তবে ব্রাজিল শুরুতে গোলের দেখা পাচ্ছিল না। গ্যাব্রিয়েল মাগালহায়েসের হেড ফিরিয়ে দেন চিলির গোলরক্ষক লরেন্স ভিগোরুক্স। এরপর কাসেমিরো বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। এক পর্যায়ে কিছুটা ম্যাচে ফিরতে শুরু করলেও চিলিকে বারবার আটকে দেন এস্তেভাও, রাফিনহা আর ব্রুনো গিমারাইশের শট ঠেকানো ডিফেন্ডাররা।

একবার অবশ্য ব্রাজিলের রক্ষণে আতঙ্ক তৈরি করেছিলেন চিলির বেন ব্রেরেটন দিয়াজ। ডার্বি কাউন্টির এই ফরোয়ার্ড দারুণ দৌড়ে এগিয়ে গিয়ে অ্যালিসন বেকারকেও পরাস্ত করেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মারকিনিয়োস বল ক্লিয়ার করেন। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায় অফসাইড ছিলেন দিয়াজ।

অপেক্ষার অবসান হয় ৩৮ মিনিটে। রাফিনহার শট ফিরিয়ে দিলে গোলরক্ষকের বুটে লেগে বল উঁচু হয়ে ওঠে। আর দারুণ অ্যাক্রোবেটিক ভঙ্গিতে সেটি জালে পাঠান তরুণ প্রতিভা এস্তেভাও।

প্রথমার্ধের শেষদিকে চিলি একবার সমতায় ফেরার কাছাকাছি গিয়েছিল। পাওলো দিয়াজের দুর্দান্ত হেড ঠেকিয়ে দেন অ্যালিসন। এর আগে ওয়েসলেকে ফাউল করায় গুইয়ের্মো মারিপানকে লাল কার্ড দেখানো হলেও পরে তা কমিয়ে হলুদ কার্ডে রূপান্তরিত হয়।

বিরতির পরও লড়াই চালিয়ে যায় চিলি। লুকাস সেপেদার শট যায় ওপর দিয়ে। অন্যদিকে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির প্রচেষ্টা বাঁচান গোলরক্ষক। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ব্রাজিল হয়তো এক গোলেই থেমে যাবে।

কিন্তু কার্লো আনচেলত্তির বদলি খেলোয়াড়রাই বদলে দিলেন ম্যাচের চিত্র। মাঠে নামার কিছুক্ষণ পরই লুইজ হেনরিক দারুণ কৌশলে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল বাড়ান লুকাস পাকেতাকে, যিনি হেডে জালে জড়িয়ে দেন।

এর মাত্র চার মিনিট পর আবারও গোল। হেনরিকের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ব্রুনো গিমারাইশ ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে ঠেলে দেন। ৩-০ ব্যবধানেই নিশ্চিত হয়ে যায় ব্রাজিলের দাপুটে জয়।

এই জয়ের সঙ্গে কোচ কার্লো আনচেলত্তির অধীনে অপরাজিত যাত্রা অব্যাহত থাকল। তিন ম্যাচের দুটিতে জয়ের পাশাপাশি এখনো গোল খায়নি তার দল।

শেষ ম্যাচে বলিভিয়াকে হারাতে পারলেই আর্জেন্টিনার পরের সেরা দল হয়ে বাছাইপর্ব শেষ করবে ব্রাজিল। এমনকি ড্র করলেও শীর্ষ চারে থাকার নিশ্চয়তা মিলবে। অন্যদিকে টানা পাঁচ ম্যাচ গোলশূন্য থেকে চিলি এখন তলানির লজ্জা এড়াতে উরুগুয়েকে হারানো ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছে না।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

মারাকানায় চিলির বিপক্ষে ব্রাজিলের বড় জয়

Update Time : ০৫:৫০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

ঘরের মাঠ বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে ব্রাজিল। তারা ৩-০ গোলে হারিয়েছে চিলিকে। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছেন এস্তেভাও, লুকাস পাকেতা ও ব্রুনো গিমারায়েস। এই জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৭ ম্যাচ থেকে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ব্রাজিল। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা।

আগেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। অন্যদিকে উত্তর আমেরিকায় যেতে পারার স্বপ্ন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে চিলির। তাই রিও দে জেনেইরোর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই দুই দলের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।

তবে ব্রাজিল শুরুতে গোলের দেখা পাচ্ছিল না। গ্যাব্রিয়েল মাগালহায়েসের হেড ফিরিয়ে দেন চিলির গোলরক্ষক লরেন্স ভিগোরুক্স। এরপর কাসেমিরো বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। এক পর্যায়ে কিছুটা ম্যাচে ফিরতে শুরু করলেও চিলিকে বারবার আটকে দেন এস্তেভাও, রাফিনহা আর ব্রুনো গিমারাইশের শট ঠেকানো ডিফেন্ডাররা।

একবার অবশ্য ব্রাজিলের রক্ষণে আতঙ্ক তৈরি করেছিলেন চিলির বেন ব্রেরেটন দিয়াজ। ডার্বি কাউন্টির এই ফরোয়ার্ড দারুণ দৌড়ে এগিয়ে গিয়ে অ্যালিসন বেকারকেও পরাস্ত করেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মারকিনিয়োস বল ক্লিয়ার করেন। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায় অফসাইড ছিলেন দিয়াজ।

অপেক্ষার অবসান হয় ৩৮ মিনিটে। রাফিনহার শট ফিরিয়ে দিলে গোলরক্ষকের বুটে লেগে বল উঁচু হয়ে ওঠে। আর দারুণ অ্যাক্রোবেটিক ভঙ্গিতে সেটি জালে পাঠান তরুণ প্রতিভা এস্তেভাও।

প্রথমার্ধের শেষদিকে চিলি একবার সমতায় ফেরার কাছাকাছি গিয়েছিল। পাওলো দিয়াজের দুর্দান্ত হেড ঠেকিয়ে দেন অ্যালিসন। এর আগে ওয়েসলেকে ফাউল করায় গুইয়ের্মো মারিপানকে লাল কার্ড দেখানো হলেও পরে তা কমিয়ে হলুদ কার্ডে রূপান্তরিত হয়।

বিরতির পরও লড়াই চালিয়ে যায় চিলি। লুকাস সেপেদার শট যায় ওপর দিয়ে। অন্যদিকে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির প্রচেষ্টা বাঁচান গোলরক্ষক। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, ব্রাজিল হয়তো এক গোলেই থেমে যাবে।

কিন্তু কার্লো আনচেলত্তির বদলি খেলোয়াড়রাই বদলে দিলেন ম্যাচের চিত্র। মাঠে নামার কিছুক্ষণ পরই লুইজ হেনরিক দারুণ কৌশলে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল বাড়ান লুকাস পাকেতাকে, যিনি হেডে জালে জড়িয়ে দেন।

এর মাত্র চার মিনিট পর আবারও গোল। হেনরিকের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ব্রুনো গিমারাইশ ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে ঠেলে দেন। ৩-০ ব্যবধানেই নিশ্চিত হয়ে যায় ব্রাজিলের দাপুটে জয়।

এই জয়ের সঙ্গে কোচ কার্লো আনচেলত্তির অধীনে অপরাজিত যাত্রা অব্যাহত থাকল। তিন ম্যাচের দুটিতে জয়ের পাশাপাশি এখনো গোল খায়নি তার দল।

শেষ ম্যাচে বলিভিয়াকে হারাতে পারলেই আর্জেন্টিনার পরের সেরা দল হয়ে বাছাইপর্ব শেষ করবে ব্রাজিল। এমনকি ড্র করলেও শীর্ষ চারে থাকার নিশ্চয়তা মিলবে। অন্যদিকে টানা পাঁচ ম্যাচ গোলশূন্য থেকে চিলি এখন তলানির লজ্জা এড়াতে উরুগুয়েকে হারানো ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছে না।

সবুজদেশ/এসএএস