মাশরুম চাষে সফল গৃহবধূ ফারজানা
জাহিদ হাসান, যশোরঃ
মাশরুম চাষে সফল যশোর শহরতলী মুড়লি এলাকার গৃহবধূ ফারজানা ইয়াসমিন বৃষ্টি। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি ১৫ জন নারী ও পুরুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন তিনি। ঘরোয়া এ ফসলটি তিনি তার এলাকায় জনপ্রিয়তা করেছেন তিনি এবং আশেপাশের জেলায় যাচ্ছে তার এ মাশরুশ। শখের বশে চাষ শুরু করে তিনি এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। মাশরুম চাষে তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই এখন তা চাষে উৎসাহী হয়ে উঠছেন।
২০১৬ সালে মাগুরা ‘ড্রীম মাশরুম সেন্টার’ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নড়াইলে স্বামীর বাড়িতে সখের বশে মাশরুশ চাষ শুরু করেন তিনি। এতেই তিনি সাফল্য পেতে শুরু করেন। বড় কিচু করার স্বপ্ন নিয়ে যশোর শহরতলী মুড়লির এলাকার আশরাফ আলির ভাড়া বাসার ছাদে এ কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। এই বাড়ির ছাদে তিনি মাশরুম চাষ করে বিপ্লব ঘটিয়েছেন । ছাঁদ কৃষিতে সাড়া জাগানো মা ফারহানা ইয়াসমিনেরে অনুকরণ আর ব্যবসায়ী স্বামী সৈয়দ করিমুজ্জামানের অনুপ্রেরণায় আজ তিনি সফল নারী উদ্যোক্তা।
ফারজানা ইয়াসমিন বৃষ্টি জানান, শুরুটা শখের বশে হলেও এটিকে তিনি এখন বাণিজ্যিকভাবে নিয়েছেন। তার মাশরুম চাষ প্রকল্পের নাম দিয়েছেন “বৃষ্টি মাশরুশ সেন্টার”
মাত্র আড়াই লক্ষ টাকা মূলধন আর অঘাত স্বপ্ন নিয়ে বৃষ্টি তার বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষের যাত্রা শুরু করেন। ঢাকা মাশরুম উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে তিনি এই বীজ সংগ্রহ করেছেন। ধানের বিচালি ছোট ছোট টুকরা করে পলিব্যাগে ভরে ধাপে ধাপে মাশরুমের ওই বীজ ছড়িয়ে দেন। এভাবে ১৫ দিন রেখে দেয়ার পর ফলন আসতে শুরু করে এবং সংগ্রহ করা যায়। প্রতিটি ব্যাগে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে তার সেন্টারে এক হাজার তিন শ’ প্যাকেট রয়েছে। এ থেকে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ কেজি মাশরুম পান তিনি। যার প্রতি কেজি বাজার মূল্য দুই শ’৫০ টাকা। বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাওয়া লাগে না তার। ক্রেতারা তার বাড়ি এসে নিয়ে যায়। মাশরুম সেন্টারে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে ১৫ জন নারী ও পুরুষ কর্মচারী কাজ করছে। ফারজানা ইয়াসমিন বৃষ্টি স্বপ্ন দেখছেন তার এই মাশরুম প্রক্রিয়াজাত করে দেশের বাইরে রপ্তানি করা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, মাশরুম নিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কোন প্রজেষ্ট নাই। তার পরেও কৃষক, বেকার যুবক ও গৃহবধূদের মাশরুম চাষে উদ্বদ্ধ করছি।