নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের বাসায় গিয়ে তাঁর হাসির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি দিয়াদের বাসায় যান। প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন।

শাজাহান খান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি।

দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী তাঁকে বলেন, তিনি অন্য একটি প্রসঙ্গে হেসেছিলেন। তখনো জানতেন না সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পরে সাংবাদিকেরা বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপন করেন। তাঁর হাসিতে সবাই দুঃখ পেয়েছে জেনে তিনি আগেই শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এখন নিজে এসে তাঁদের পরিবারের কাছেও ক্ষমা চান।

জাহাঙ্গীর নৌপরিবহনমন্ত্রীকে বলেছেন, যা-ই হোক না কেন, তিনি সড়কে নিরাপত্তা চান। তিনি চান তাঁর মেয়ের অছিলায় হলেও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হোক। অদক্ষ চালকদের হাতে আর স্টিয়ারিং না থাকুক। তাঁর মেয়ে অন্যদের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। শুধু চালকের খামখেয়ালির কারণে তাঁর মেয়েটা মারা গেছে।

গত রোববার বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর নামের একটি বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব নিহত হয়। ঘটনার দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের হাসিমুখে প্রতিক্রিয়া জানান নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here