মুজিববর্ষ: সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হচ্ছে ১০০ বন্যপ্রাণি
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর এই মার্চ মাসেই একশতটি বন্যপ্রাণি ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরনে অবমুক্ত করা হচ্ছে। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া প্রাপ্তবয়স্ক লবণ পানি প্রজাতির ৯০টি কুমির ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ১০টি বাটাগুর বাচকা কচ্ছপ ম্যানগ্রোভ এই বনের নদ-নদীতে ছেড়ে দেয়া হবে আগামী ২৫ মার্চ।
সুন্দরবন বাংলাদেশ অংশের আয়তন হচ্ছে ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। যা দেশের মোট সংরক্ষিত বনভূমির ৫১ ভাগ। ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ইউনেস্কো জীববৈচিত্র্যের আধার বিশ্বের বৃহত্তম এই ম্যানগ্রোভ বনের ৩টি অভয়ারণ্যের ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ হেক্টর এলাকাকে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড ঘোষণা করে। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমি সুন্দরবনে বর্তমানে মোট ১৮৪ প্রজাতির উদ্ভিদের পাশাপাশি দুই প্রজাতির হরিণ, কিং কোবরাসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণি রয়েছে। বঙ্গোপসাগর উপকূলের লবণাক্ত জলাভূমির এই বনের ৪৫০টি নদ-নদী ও খালে রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতিসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, লবণ পানির কুমির ছাড়াও রয়েছে ২১০ প্রজাতির মাছ।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া প্রাপ্তবয়স্ক একশতটি বন্যপ্রাণি আগামী ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বন বিভাগ সুন্দরবনের ৪টি রেঞ্জের নদ-নদী ও খালে আনুষ্ঠানিক ভাবে অবমুক্ত করা হবে। এই একশতটি বন্যপ্রাণির মধ্যে রয়েছে লবণ পানি প্রজাতির ৯০টি কুমির ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ১০টি বাটাগুর বাচকা কচ্ছপ। মুজিব শতবর্ষে সারা বছর জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালনের অংশ হিসেবে একশতটি বন্যপ্রাণির সুন্দরবনে ছেড়ে বঙ্গবন্ধু’র জন্মশত বার্ষিকী স্মরনীয় করে রাখছে বন বিভাগ।