ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরগি-পাঁঠার বদলে বেশি করে গরুর গোশত খেতে বললেন বিজেপি মন্ত্রী!

Reporter Name

বেশি করে গরুর গোশত খেতে বললেন বিজেপি মন্ত্রী সানবোর সুল্লাই। - ছবি : সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্কঃ

মুরগির গোশত, মাটন (পাঁঠার মাংস) কিংবা মাছের বদলে গরুর গোশত বেশি করে খেতে নিজের রাজ্যের বাসিন্দাদের বললেন ভারতের মেঘালয়ের বিজেপি মন্ত্রী সানবোর সুল্লাই। এর মাধ্যমে তার দল যে গরুর গোশত খাওয়ার বিরোধী নয়, সেকথাই যেন প্রমাণ করতে চাইলেন তিনি।

গরুর গোশত খাওয়ার বিরোধী ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি। দেশের একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যে এই সংক্রান্ত আইনও আনা হয়েছে। কোথাও আবার গো-মন্ত্রণালয়ও গঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি বিজেপিশাসিত আসাম বিধানসভায় ‘গবাদি পশু সংরক্ষণ’ বিল পেশ করেছেন মুখ্যমন্তী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যেখানে বলা হয়েছে, মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর গোশত বিক্রি করা যাবে না। একইসাথে হিন্দু, শিখ ও জৈন সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোতে গরুর গোশত ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

কিন্তু সেই বিজেপি দলের মন্ত্রীর গলাতেই যেন উল্টো সুর।

সিনিয়র বিজেপি নেতা সুল্লাই গত সপ্তাহেই মেঘালয়ের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এরপরই তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকেরই নিজের পছন্দমতো খাবার খাওয়ার অধিকার রয়েছে।

শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে সুল্লাই বলেন, ‘মুরগির গোশত, মাটন কিংবা মাছের পরিবর্তে আমি রাজ্যের বাসিন্দাদের গরু খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করব। আর এতে বিজেপি যে গরুর গোশত খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে, মানুষের সেই ধারণাও ভুল প্রমাণিত হবে।’

সম্প্রতি আসামে গরু রক্ষায় যে নতুন বিল পাস হয়েছে, এর ফলে আসাম থেকে গরুর আমদানির ব্যাপারে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মেঘালয়ের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সুল্লাই জানালেন, এ ব্যাপারে তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন। যদিও বর্তমানে সীমান্ত নিয়ে দু’রাজ্যের মধ্যে চলতে থাকা বিবাদের মাঝে এই নিয়েও অনেকেই সন্দিহান।

এদিকে, আবার গত সোমবার অর্থাৎ ২৬ জুলাই সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আসাম ও মিজোরামের পুলিশ বাহিনী। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে দুই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে। অত্যাধুনিক রাইফেল ও মেশিনগান দিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায় দুই বাহিনী। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় আসাম পুলিশের ছয় কর্মীর। তারপর সমস্যা মেটাতে আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু কিছুতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। এহেন সময়ে সমস্যা আরো বাড়িয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে ‘অ্যাটেম্প্ট টু মার্ডার’ বা খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে মিজোরামের পুলিশ।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:১৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
১৬৪ Time View

মুরগি-পাঁঠার বদলে বেশি করে গরুর গোশত খেতে বললেন বিজেপি মন্ত্রী!

আপডেট সময় : ০৯:১৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

অনলাইন ডেস্কঃ

মুরগির গোশত, মাটন (পাঁঠার মাংস) কিংবা মাছের বদলে গরুর গোশত বেশি করে খেতে নিজের রাজ্যের বাসিন্দাদের বললেন ভারতের মেঘালয়ের বিজেপি মন্ত্রী সানবোর সুল্লাই। এর মাধ্যমে তার দল যে গরুর গোশত খাওয়ার বিরোধী নয়, সেকথাই যেন প্রমাণ করতে চাইলেন তিনি।

গরুর গোশত খাওয়ার বিরোধী ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি। দেশের একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যে এই সংক্রান্ত আইনও আনা হয়েছে। কোথাও আবার গো-মন্ত্রণালয়ও গঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি বিজেপিশাসিত আসাম বিধানসভায় ‘গবাদি পশু সংরক্ষণ’ বিল পেশ করেছেন মুখ্যমন্তী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যেখানে বলা হয়েছে, মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর গোশত বিক্রি করা যাবে না। একইসাথে হিন্দু, শিখ ও জৈন সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলোতে গরুর গোশত ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।

কিন্তু সেই বিজেপি দলের মন্ত্রীর গলাতেই যেন উল্টো সুর।

সিনিয়র বিজেপি নেতা সুল্লাই গত সপ্তাহেই মেঘালয়ের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এরপরই তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকেরই নিজের পছন্দমতো খাবার খাওয়ার অধিকার রয়েছে।

শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে সুল্লাই বলেন, ‘মুরগির গোশত, মাটন কিংবা মাছের পরিবর্তে আমি রাজ্যের বাসিন্দাদের গরু খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করব। আর এতে বিজেপি যে গরুর গোশত খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে, মানুষের সেই ধারণাও ভুল প্রমাণিত হবে।’

সম্প্রতি আসামে গরু রক্ষায় যে নতুন বিল পাস হয়েছে, এর ফলে আসাম থেকে গরুর আমদানির ব্যাপারে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু মেঘালয়ের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সুল্লাই জানালেন, এ ব্যাপারে তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন। যদিও বর্তমানে সীমান্ত নিয়ে দু’রাজ্যের মধ্যে চলতে থাকা বিবাদের মাঝে এই নিয়েও অনেকেই সন্দিহান।

এদিকে, আবার গত সোমবার অর্থাৎ ২৬ জুলাই সীমান্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আসাম ও মিজোরামের পুলিশ বাহিনী। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে দুই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে। অত্যাধুনিক রাইফেল ও মেশিনগান দিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায় দুই বাহিনী। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় আসাম পুলিশের ছয় কর্মীর। তারপর সমস্যা মেটাতে আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু কিছুতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। এহেন সময়ে সমস্যা আরো বাড়িয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে ‘অ্যাটেম্প্ট টু মার্ডার’ বা খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে মিজোরামের পুলিশ।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন