মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, শীতের বৃষ্টিতে নাস্তানাবুদ জনজীবন
এস এম সামছুর রহমান, বাগেরহাটঃ
সারা দেশের মত উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে শুক্রবার ভোর থেকে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শীতের মধ্যে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও বৃষ্টিতে জনজীবন নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে। ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না শীতার্ত মানুষ। জেলা সদরসহ উপজেলা ও গুরুত্ত্বপূর্ন স্থানের রাস্তাঘাটগুলো ফাঁকা রয়েছে। নিচু বোরো ধানের বীজতলায় পানি জমেছে। ফলে বৃষ্টি অব্যহত থাকলে চাষীদের ব্যপক ক্ষতি হতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে বাগেরহাটের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের দেখা তেমন মেলেনি। ফলে পৌষের মাঝামাঝি সময়ে স্বাভাবিকভাবেই জেঁকে বসেছে শীত। তার ওপর শুক্রবার ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হাওয়ায় এর তীব্রতা আরো বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ, শিশু এবং খেটে খাওয়া মানুষকে। তীব্র ঠান্ডায় মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু-পাখিও কাহিল হয়ে পড়েছে।
রূপসা-বাগেরহাট আন্ত:জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ বাকী তালুকদার জানান, বৃষ্টি ও শীতের কারণে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে তেমন যাত্রী ছিল না। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
এদিকে গত কয়েক দিনের ঠান্ডায় শীতজনিত নানা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্বাসকষ্ট, সর্দি, জ্বর, গলাব্যাথা, ডায়রিয়া, পেটের পীড়া, নিউমোনিয়া ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরণের রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা জানান, আক্রান্তদের মধ্যে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধসহ সব শ্রেনির মানুষ রয়েছে। তবে এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। শীতে গরম কাপড় পরে থাকা, বৃষ্টিতে না ভেজা এবং বেশি পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছের বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা: পুলক দেবনাথ।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে জেলায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বৃষ্টি অব্যহত থাকলে ক্ষতির পরিমান বাড়বে। তবে এই বৃষ্টিতে মাটির লবনাক্ততা কমবে বলে তিনি জানান।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, শুক্রবার ভোরে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতের শুরু থেকে এপর্যন্ত জেলায় ৪৫ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে। নতুন করে আরো দুই হাজার কম্বল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।