ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ মেনে নেওয়া হবে না নৌকার বিরোধিতা’

Reporter Name

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক কষ্ট করে আজকে আওয়ামী লীগকে, নৌকা মার্কাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছি। নৌকার বিপক্ষে যারা কাজ করবে, তাদের কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এসব কথা বলেন।

বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, দলের নেতা-কর্মী যারা আছেন, তাঁদের যদি স্থানীয় সংসদ সদস্য বা দলের নেতাদের প্রতি কোনো বক্তব্য থাকে, সেটা লিখিত আকারে দলকে জানাতে পারেন। কিন্তু সেটা না করে এলাকায় দলের সংসদ সদস্যদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা, তাঁদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা, এটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী। সবাইকে দলের নিয়ম মেনে চলতে হবে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে যারা এমন আচরণ করেছেন, তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি যে সকল সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটেছে এবং কেন তাঁদের বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে থাকা একাধিক নেতা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় শৃঙ্খলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। কারণ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের দূরত্ব সৃষ্টির বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এসব দূরত্ব মিটিয়ে ফেলতে চান দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। গত রাতের বৈঠকে শেখ হাসিনা দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকে তাঁদের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক বিভাগের খোঁজ নেন এবং যেসব এলাকায় সমস্যা আছে, তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া সদ্য অনুষ্ঠিত সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলও বৈঠকে বিশ্লেষণ করা হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরুদ্দিন আহমেদ কামরানের পরাজয়ের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় বৈঠকে। এ সময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিলেট সিটি আওয়ামী লীগের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য করণীয় নিয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সূচনা বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৫৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৯৬৬ Time View

‘ মেনে নেওয়া হবে না নৌকার বিরোধিতা’

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক কষ্ট করে আজকে আওয়ামী লীগকে, নৌকা মার্কাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছি। নৌকার বিপক্ষে যারা কাজ করবে, তাদের কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এসব কথা বলেন।

বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, দলের নেতা-কর্মী যারা আছেন, তাঁদের যদি স্থানীয় সংসদ সদস্য বা দলের নেতাদের প্রতি কোনো বক্তব্য থাকে, সেটা লিখিত আকারে দলকে জানাতে পারেন। কিন্তু সেটা না করে এলাকায় দলের সংসদ সদস্যদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা, তাঁদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা, এটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী। সবাইকে দলের নিয়ম মেনে চলতে হবে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে যারা এমন আচরণ করেছেন, তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি যে সকল সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটেছে এবং কেন তাঁদের বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে থাকা একাধিক নেতা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় শৃঙ্খলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। কারণ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের দূরত্ব সৃষ্টির বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এসব দূরত্ব মিটিয়ে ফেলতে চান দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। গত রাতের বৈঠকে শেখ হাসিনা দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাছ থেকে তাঁদের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক বিভাগের খোঁজ নেন এবং যেসব এলাকায় সমস্যা আছে, তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া সদ্য অনুষ্ঠিত সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলও বৈঠকে বিশ্লেষণ করা হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরুদ্দিন আহমেদ কামরানের পরাজয়ের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় বৈঠকে। এ সময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিলেট সিটি আওয়ামী লীগের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য করণীয় নিয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সূচনা বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন।