মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চরগোয়াল গ্রামের চাঞ্চল্যকর রিদয় হত্যা মামলার এজাহারনামীয় এক ও দুই নম্বর পলাতক আসামি জান্নাত ও বিপুলকে গ্রেফতার করেছে মেহেরপুর সিপিসি-৩ র্যাব-১২ টিমের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানাধীন মশাউড়া গ্রাম এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মেহেরপুর সিপিসি-৩ র্যাব-১২ এর সহকারী পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এনামুল হক বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মারফত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন চরগোয়াল গ্রামে ঈদগাহের গেট ভাঙাকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধের সূত্র ধরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে এজাহারনামীয় আসামিরা রিদয়কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং হামলায় একাধিক ব্যক্তি আহত হয়।
হত্যা ও হামলার ঘটনায় নিহতের বাবা শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে রামনগর গ্রামের আজাদ আলীর ছেলে জান্নাতকে প্রধান আসামি করে ১২ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে গাংনী থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মেহেরপুর জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে র্যাব এজাহারনামীয় আসামিদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারীসহ গ্রেফতারে কাজ শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) র্যাবের একটি টিম বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানাধীন মশাউড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বাবুর বাড়ি থেকে উল্লিখিত মামলার এজাহার নামীয় এক নম্বর আসামি জান্নাত ও একই গ্রামের ইমরান হোসেনের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার ওপর থেকে এজাহার নামীয় দুই নম্বর আসামি বিপুলকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘটনার দিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মামলার ছয় নম্বর এজাহার নামীয় আসামি সাইদুর রহমান মিলন মেম্বারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সবুজদেশ/এসইউ