ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারছে না ২ বিদেশি জাহাজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে।

মোংলাঃ

মোংলা বন্দরের আউটার বারে (বহির্নোঙ্গর) পণ্য নিয়ে চার দিন ধরে আটকে আছে পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি সি এস ফিউচার’ ও টুভালু পতাকাবাহী ‘এমভি পাইনিয়র’। নাব্যতা সংকটের কারণে বিদেশি জাহাজ দুটি বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। 

সোমবার (৪ অক্টোবর) স্থানীয় শিপিং এজেন্ট পার্ক শিপিংয়ের মালিক হুমায়ুন কবির পাটোয়ারি ও এফ এম এস মেরিটাইমের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. বিপ্লব জানান, আউটার বারে সাড়ে নয় মিটার জাহাজ প্রবেশে ড্রেজিং করা হয়েছে। তবে ওই জাহাজ দুটি সাড়ে নয় মিটারেরও কম। তারপরও বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না। তাহলে শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিং করে কী লাভ হলো? এখন মোটা অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে লাইটার পাঠিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, ড্রেজিং করার পর ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়। এরপর বর্ষা মৌসুমে আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল (৩ অক্টোবর) আউটার বারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার পাঠানো হয়েছে।

জাহাজ ঢুকতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা কোনও বড় সমস্যা না। ওখানে লাইটার দিয়ে কিছু পণ্য খালাস করে জাহাজ দুটি বন্দরে আনা হবে। 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ২৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে নয় দশমিক তিন মিটারের পানামা পতাকাবাহী এমভি সি এস ফিউচার জাহাজ হিরণ পয়েন্টের পাইলট স্টেশনে নোঙর করে। এরপর ১ অক্টোবর ১১ হাজার মেট্রিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে নয় দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার টুভালু পতাকাবাহী আরেক বিদেশি জাহাজ এমভি পাইনিয়র ড্রিম। 

মোংলা বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটার বার ড্রেজিংয়ের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) মো. শওকত আলী লেন, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মোংলা বন্দরের আউটার বারে ড্রেজিং শেষ হয়। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে হোপার ড্রেজার দিয়ে সেটা পুনরায় খননের চেষ্টা চলছে।

Tag :

মোংলা বন্দরে ভিড়তে পারছে না ২ বিদেশি জাহাজ

Update Time : ০৯:৪০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১

মোংলাঃ

মোংলা বন্দরের আউটার বারে (বহির্নোঙ্গর) পণ্য নিয়ে চার দিন ধরে আটকে আছে পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি সি এস ফিউচার’ ও টুভালু পতাকাবাহী ‘এমভি পাইনিয়র’। নাব্যতা সংকটের কারণে বিদেশি জাহাজ দুটি বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। 

সোমবার (৪ অক্টোবর) স্থানীয় শিপিং এজেন্ট পার্ক শিপিংয়ের মালিক হুমায়ুন কবির পাটোয়ারি ও এফ এম এস মেরিটাইমের খুলনার ব্যবস্থাপক মো. বিপ্লব জানান, আউটার বারে সাড়ে নয় মিটার জাহাজ প্রবেশে ড্রেজিং করা হয়েছে। তবে ওই জাহাজ দুটি সাড়ে নয় মিটারেরও কম। তারপরও বন্দরে প্রবেশ করতে পারছে না। তাহলে শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিং করে কী লাভ হলো? এখন মোটা অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে লাইটার পাঠিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, ড্রেজিং করার পর ওই জায়গায় আবার পলি পড়ে ভরাট হয়। এরপর বর্ষা মৌসুমে আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল (৩ অক্টোবর) আউটার বারে ড্রেজিং করতে একটি হোপার ড্রেজার পাঠানো হয়েছে।

জাহাজ ঢুকতে না পারার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা কোনও বড় সমস্যা না। ওখানে লাইটার দিয়ে কিছু পণ্য খালাস করে জাহাজ দুটি বন্দরে আনা হবে। 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ২৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে নয় দশমিক তিন মিটারের পানামা পতাকাবাহী এমভি সি এস ফিউচার জাহাজ হিরণ পয়েন্টের পাইলট স্টেশনে নোঙর করে। এরপর ১ অক্টোবর ১১ হাজার মেট্রিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে নয় দশমিক ২৫ মিটার গভীরতার টুভালু পতাকাবাহী আরেক বিদেশি জাহাজ এমভি পাইনিয়র ড্রিম। 

মোংলা বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিক) ও আউটার বার ড্রেজিংয়ের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) মো. শওকত আলী লেন, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মোংলা বন্দরের আউটার বারে ড্রেজিং শেষ হয়। এখন সেখানে কিছুটা পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে হোপার ড্রেজার দিয়ে সেটা পুনরায় খননের চেষ্টা চলছে।