ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোটর সাইকেলে ‘প্রেস লেখা’ ৮০ শতাংশই ভুয়া!

Reporter Name

বেনাপোল, যশোরঃ

প্রেস লেখা অনেক মোটরসাইকেল বেনাপোল, শার্শা, নাভারন ও উপজেলার বিভিন্ন স্থান দাপিয়ে বেড়ায়। যার ৮০ শতাংশই ভুয়া বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব মোটরসাইকেলের অধিকাংশ চালক বা আরোহী সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট নন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল এলাকার একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজের মালিক আকবর হোসেন জানান, তার গ্যারেজে সম্প্রতি এক ব্যক্তি প্রেস লেখা মোটরসাইকেল মেরামতসহ বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে আসেন। তিনি মোটরসাইকেল সার্ভিসিংসহ বিভিন্ন কাজকর্ম করে দেওয়ার ফাঁকে ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেন, ‘কোন সংবাদপত্রে লেখেন?’। উক্ত প্রেস লেখা মোটরসাইকেলের চালক গ্যারেজ মালিককে জানান, তিনি একটি অখ্যাত পত্রিকার পরিচয়পত্র নিজে কম্পিউটার দোকান থেকে বানিয়ে নিয়েছেন। তার কারণ প্রেস লেখা মোটরসাইকেল সড়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্জেন্ট, টিএসআই ও এটিএসআই অনেকাংশে থামান না। যার ফলে ট্রাফিক পুলিশের ঝামেলা এড়াতে তিনি মোটরসাইকেলের মিটার বক্সের সামনে লিখে রেখেছেন প্রেস।

বেনাপোল ও শার্শা শহরের বিভিন্ন সড়কে চোখ রাখলেই দেখা যায় ইংরেজি ও বাংলায় লেখা প্রেস মোটরসাইকেলের বেপরোয়া চলাফেরা। এর আগে যশোর ও বেনাপোল প্রেসক্লাবের নেতারা প্রেস লেখা মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য পুলিশ সুপারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

সম্প্রতি যশোরে প্রেস লেখা একটি মোটরসাইকেলসহ দুই নারী কোতয়ালি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তাদের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। তারা পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়ার পর যশোরের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় পরিচয়পত্র দেখান। তবে ওই পত্রিকার কর্মকর্তারা তাদের চেনেন না বলে জানান।

দায়িত্বরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, প্রেস লেখা মোটরসাইকেল ও ভেসপার সংখ্যা বর্তমানে অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে যাবে। যার প্রায় ৮০ শতাংশ ভুয়া। প্রতারক এবং ভুয়া সংবাদপত্রের পরিচয়ে তারা চলাফেরা করছেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান জানান, প্রেস লেখা মোটরসাইকেলে করে যদি কেউ অপরাধ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

এম আর রহমান রাশু বেনাপোল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মোটরসাইকেলে প্রেস লিখে অবৈধ কাজ, মাদক কারবারে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা পুলিশের কাছে দাবি জানাই।  

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:০৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০
৯১২ Time View

মোটর সাইকেলে ‘প্রেস লেখা’ ৮০ শতাংশই ভুয়া!

আপডেট সময় : ০৭:০৩:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০

বেনাপোল, যশোরঃ

প্রেস লেখা অনেক মোটরসাইকেল বেনাপোল, শার্শা, নাভারন ও উপজেলার বিভিন্ন স্থান দাপিয়ে বেড়ায়। যার ৮০ শতাংশই ভুয়া বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব মোটরসাইকেলের অধিকাংশ চালক বা আরোহী সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট নন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বেনাপোল এলাকার একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজের মালিক আকবর হোসেন জানান, তার গ্যারেজে সম্প্রতি এক ব্যক্তি প্রেস লেখা মোটরসাইকেল মেরামতসহ বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে আসেন। তিনি মোটরসাইকেল সার্ভিসিংসহ বিভিন্ন কাজকর্ম করে দেওয়ার ফাঁকে ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেন, ‘কোন সংবাদপত্রে লেখেন?’। উক্ত প্রেস লেখা মোটরসাইকেলের চালক গ্যারেজ মালিককে জানান, তিনি একটি অখ্যাত পত্রিকার পরিচয়পত্র নিজে কম্পিউটার দোকান থেকে বানিয়ে নিয়েছেন। তার কারণ প্রেস লেখা মোটরসাইকেল সড়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্জেন্ট, টিএসআই ও এটিএসআই অনেকাংশে থামান না। যার ফলে ট্রাফিক পুলিশের ঝামেলা এড়াতে তিনি মোটরসাইকেলের মিটার বক্সের সামনে লিখে রেখেছেন প্রেস।

বেনাপোল ও শার্শা শহরের বিভিন্ন সড়কে চোখ রাখলেই দেখা যায় ইংরেজি ও বাংলায় লেখা প্রেস মোটরসাইকেলের বেপরোয়া চলাফেরা। এর আগে যশোর ও বেনাপোল প্রেসক্লাবের নেতারা প্রেস লেখা মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য পুলিশ সুপারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

সম্প্রতি যশোরে প্রেস লেখা একটি মোটরসাইকেলসহ দুই নারী কোতয়ালি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তাদের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। তারা পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়ার পর যশোরের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় পরিচয়পত্র দেখান। তবে ওই পত্রিকার কর্মকর্তারা তাদের চেনেন না বলে জানান।

দায়িত্বরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, প্রেস লেখা মোটরসাইকেল ও ভেসপার সংখ্যা বর্তমানে অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে যাবে। যার প্রায় ৮০ শতাংশ ভুয়া। প্রতারক এবং ভুয়া সংবাদপত্রের পরিচয়ে তারা চলাফেরা করছেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান জানান, প্রেস লেখা মোটরসাইকেলে করে যদি কেউ অপরাধ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

এম আর রহমান রাশু বেনাপোল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মোটরসাইকেলে প্রেস লিখে অবৈধ কাজ, মাদক কারবারে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা পুলিশের কাছে দাবি জানাই।