মোড়েলগঞ্জে গ্রামপুলিশকে মারপিট: ১৩ দিনেও নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ (চৌকিদার) দিবাকর মজুমদারকে মারপিট করে চেয়ারম্যানের কক্ষে আটকে রাখার ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই গ্রামপুলিশ মোরেলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কোন প্রতিকার না পেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মোরেলগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগ এবং গ্রামপুলিশ দিবাকর মজুমদার জানান, গত ২৬ এপ্রিল চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে পূর্ব শত্রæতার কারনে সাবেক ইউপি সদস্য কবির হোসেন হাওলাদার তাকে মারপিট করে চেয়ারম্যানের কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। চিংড়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বুলুর নির্দেশে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দিবাকর মজুমদার।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর গত ২৭ এপ্রিল গ্রামপুলিশ দিবাকর মজুমদার সাবেক ইউপি সদস্য কবির হোসেনের বিরুদ্ধে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কোন প্রতিকার তিনি পাননি। একারনে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও তিনি জানান।
দিবাকর মজুমদার আরো বলেন, বছর দেড়েক আগে ইউপি চেয়ারম্যান একবার তাকে চাকুরী থেকে অবহতি দেয়ার ষগযন্ত্র চালায়। এসময়ও তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন।
চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বুলুর বলেন, তাকে মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি। পাওনা টাকা সংক্রান্ত ঘটনায় স্থানীয়রা তাকে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য একটি কক্ষে কিছু সময় আটক রেখেছিল।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইলে কথা বলা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর একজন কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।