যবিপ্রবিতে চার জেলায় আরও ১৩ জন করোনা পজেটিভ
যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) করোনাভাইরাস পরীক্ষায় চারজেলায় নতুন আরও ১৩ রোগী সনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার যবিপ্রবি ল্যাবে এই চার জেলার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করে এই রোগী সনাক্ত হয়। এর মধ্যে যশোরে একজন, ঝিনাইদহে ৬ জন ও চুয়াডাঙ্গায় ৫জন ও মেহেরপুরে একজন রোগী রয়েছে। বাকী ৪৬টি নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এ নিয়ে যবিপ্রবি’র জিনোম সেন্টারে ১৩দিনে ১৩৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৯জন যশোরের রোগী।
যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে মঙ্গলবার ১৩তম দিনে চার জেলার ৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোরের ২৩টি নমুনা পরীক্ষায় একজন, ঝিনাইদহের ১৫টি নমুনায় ৬ জন, চুয়াডাঙ্গার ৫টি নমুনার ৫টিই এবং মেহেরপুরের ১৬টি নমুনা পরীক্ষায় একজন করোনা পজেটিভ রোগী পাওয়া গেছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে সোমবার ১২তম দিনে চার জেলার ৯৪জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। ২৯ এপ্রিল ১১তম দিনে চার জেলার ১১৩জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। ২৭ এপ্রিল সোমবার ১০ম দিনে তিন জেলার ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়।
২৬ এপ্রিল রোববার ৯ম দিনে চার জেলার ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়।
২৫ এপ্রিল ৮ম দিনে চার জেলার ৬৬জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী সনাক্ত হয়েছে।
২৪ এপ্রিল ৭ম দিনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী সনাক্ত হন। এদিন ৫ জেলা থেকে ৯৫টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল।
২৩ এপ্রিল ৬ষ্ঠ দিনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী সনাক্ত হন।
এদিন ৭ জেলা থেকে ৮৪টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার ৫ম দিনে যবিপ্রবি ল্যাবে নমুন পরীক্ষায় ১৩ জন কোডিভ-১৯ পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে সবমিলিয়ে যবিপ্রবি’র জিনোম সেন্টারে ১৩দিনে ১৩৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৯ জন যশোরের রোগী।
এছাড়া ঝিনাইদহে ৩৫ জন, চুয়াডাঙ্গা ও নড়াইলে ১২জন করে, কুষ্টিয়ায় ৪জন, মাগুরা ও মেহেরপুরে ৩ জন করে রোগী শনাক্ত হলো। যবিপ্রবিতে ৭টি জেলার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে।