ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে আবাসিক হোটেল থেকে খেলনা পিস্তল ও চাকুসহ আটক ৪

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৯:৫৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে।

 

যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরের আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ খেলনা পিস্তল ও ধারালো চাকুসহ ৪ যুবককে আটক করেছে। এ সময় হোটেল মালিক গাউসুল মোস্তাকের ছেলে মাদক বিক্রেতা ফয়সাল হুমায়ুন পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় শুরু হয়ে রাত একটায় এ অভিযান শেষ হয়।

এ ঘটনায় হুমায়ুনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আটক চারজনকে পুলিশ শুক্রবার আদালতে পাঠিয়েছে।

আটককৃতরা হলো, পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দূর্গাপুরের টুটুল, উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়ার আবু সিনহা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পৌরশহরের গরুহাট মোড়ে গাউসুল মোস্তাকের মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসের দ্বিতীয় তলায় গভীররাত পর্যন্ত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক সেবীদের আসর ও আসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে হোটেল মালিকের ছেলে ফয়সাল হুমায়ুনের নেতৃত্বে মাদকের আসর বসতো। আর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গতমাসে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় দাবি উত্থাপন করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন। এরই প্রেক্ষিতে এদিন রাতে পুলিশ অভিযানে নামে।

মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, সন্ত্রাসীরা ওই হোটেলে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে হোটেলের দুইতলার একটি কক্ষে অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা নকল নাইন এমএম পিস্তল বের করে পুলিশের দিকে তাক করে। এক পর্যায়ে পুলিশ সেখান থেকে সেই নকল নাইন এমএম পিস্তল ও একটি ধারালো চাকুসহ চার জনকে আটক করে। এ ছাড়াও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় কয়েকটি মদের বোতল। তবে অভিযানের সময় হোটেল পরিচালনাকারী ফয়সাল হুমায়ুন কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে হুমায়ুন ফয়সাল ও আটক চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

হোটেল মালিক গাউসুল মোস্তাক জানান, তার ছেলে আগে মাদকসেবী ছিল। কিন্তু বর্তমান সে ভাল।

উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু জানান, ইতিমধ্যে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য। উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে জানান, বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠায় হবে না। যে কোন মূল্যে মণিরামপুর থেকে সন্ত্রাসীদের উৎখাত করা হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

যশোরে আবাসিক হোটেল থেকে খেলনা পিস্তল ও চাকুসহ আটক ৪

Update Time : ০৯:৫৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

 

যশোরের মণিরামপুর পৌরশহরের আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ খেলনা পিস্তল ও ধারালো চাকুসহ ৪ যুবককে আটক করেছে। এ সময় হোটেল মালিক গাউসুল মোস্তাকের ছেলে মাদক বিক্রেতা ফয়সাল হুমায়ুন পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় শুরু হয়ে রাত একটায় এ অভিযান শেষ হয়।

এ ঘটনায় হুমায়ুনসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আটক চারজনকে পুলিশ শুক্রবার আদালতে পাঠিয়েছে।

আটককৃতরা হলো, পৌরসভার গাংড়া এলাকার আলম খান, দূর্গাপুরের টুটুল, উপজেলার কদমবাড়িয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও খেদাপাড়ার আবু সিনহা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পৌরশহরের গরুহাট মোড়ে গাউসুল মোস্তাকের মালিকানাধীন আবাসিক হোটেল রজনী নিবাসের দ্বিতীয় তলায় গভীররাত পর্যন্ত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক সেবীদের আসর ও আসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে হোটেল মালিকের ছেলে ফয়সাল হুমায়ুনের নেতৃত্বে মাদকের আসর বসতো। আর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গতমাসে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় দাবি উত্থাপন করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন। এরই প্রেক্ষিতে এদিন রাতে পুলিশ অভিযানে নামে।

মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, সন্ত্রাসীরা ওই হোটেলে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে হোটেলের দুইতলার একটি কক্ষে অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা নকল নাইন এমএম পিস্তল বের করে পুলিশের দিকে তাক করে। এক পর্যায়ে পুলিশ সেখান থেকে সেই নকল নাইন এমএম পিস্তল ও একটি ধারালো চাকুসহ চার জনকে আটক করে। এ ছাড়াও সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় কয়েকটি মদের বোতল। তবে অভিযানের সময় হোটেল পরিচালনাকারী ফয়সাল হুমায়ুন কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে হুমায়ুন ফয়সাল ও আটক চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

হোটেল মালিক গাউসুল মোস্তাক জানান, তার ছেলে আগে মাদকসেবী ছিল। কিন্তু বর্তমান সে ভাল।

উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু জানান, ইতিমধ্যে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে দলমত নির্বিশেষে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য। উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে জানান, বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠায় হবে না। যে কোন মূল্যে মণিরামপুর থেকে সন্ত্রাসীদের উৎখাত করা হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ