যশোর:
যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন ভারতফেরত। এটি জেলায় এক দিনের সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এ ছাড়া করোনা এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন চারজন। আজ শুক্রবার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারের ল্যাবে ৫৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৪৭ জনের এবং জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৮ জনের নমুনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষা করে আজ শুক্রবার এই ফলাফলের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী যশোরে শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন চারজন। এর মধ্যে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে করোনায় একজন, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে দুজন এবং কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে করোনায় একজন মারা গেছেন।
যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, বর্তমানে এ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১০৮ জন। এর মধ্যে ৮৫ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে করোনা সংক্রমিত হয়ে ৮৪ জন এবং ১৯ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে ২৪ জন ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনজন চিকিৎসাধীন।
যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফ আহম্মেদ বলেন, আগামী দুই মাসের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে সাজেদা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। শনিবার থেকে প্রতিষ্ঠানটি এ হাসপাতালের করোনা চিকিৎসাসেবা পরিচালনা করবে।
জেলার করোনার শনাক্তের ঊর্ধ্বগতি রুখতে যশোর, নওয়াপাড়া ও ঝিকরগাছা পৌর এলাকা এবং শার্শা সদর সদর ইউনিয়ন, বেনাপোল বাজার এবং যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া, আবরপুর, উপশহর ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নে ২৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।