ঢাকা ০৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে করোনায় নতুন শনাক্ত ৩০৫, মৃত্যু ৪

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
  • ২৩৪ বার পড়া হয়েছে।

যশোর:

যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ। এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুইজন এবং উপসর্গে দুইজন মারা গেছেন। তারা যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের করোনা রেড ও ইয়েলো জোনে ৯৯ শয্যার বিপরীতে ১২২ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটে (রেড) ৮৭ জন এবং ১৯ শয্যার আইসোলেশন (ইয়েলো) ওয়ার্ডে ৩৫ জন ভর্তি রয়েছেন।বর্তমানে হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি নেই। তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিটও রোগীতে পূর্ণ।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান বলেন, প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি করতে হচ্ছে। রোগীর চাপ সামাল দিতে আরও ৫০ শয্যার দুটি করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ শয্যার একটি ওয়ার্ডের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সেখানে সংকটাপন্ন রোগীদের স্থানান্তর করা হবে। 

তিনি বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও অবকাঠামোগত সুবিধা নিয়ে এ হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৯ জুন মধ্যরাত থেকে জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। ১৬ জুন মধ্যরাতে এই বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার থাকলেও সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

Tag :

যশোরে করোনায় নতুন শনাক্ত ৩০৫, মৃত্যু ৪

Update Time : ০২:১৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

যশোর:

যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ। এ সময় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুইজন এবং উপসর্গে দুইজন মারা গেছেন। তারা যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের করোনা রেড ও ইয়েলো জোনে ৯৯ শয্যার বিপরীতে ১২২ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৮০ শয্যার করোনা ইউনিটে (রেড) ৮৭ জন এবং ১৯ শয্যার আইসোলেশন (ইয়েলো) ওয়ার্ডে ৩৫ জন ভর্তি রয়েছেন।বর্তমানে হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি নেই। তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিটও রোগীতে পূর্ণ।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান বলেন, প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি করতে হচ্ছে। রোগীর চাপ সামাল দিতে আরও ৫০ শয্যার দুটি করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ শয্যার একটি ওয়ার্ডের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সেখানে সংকটাপন্ন রোগীদের স্থানান্তর করা হবে। 

তিনি বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও অবকাঠামোগত সুবিধা নিয়ে এ হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৯ জুন মধ্যরাত থেকে জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। ১৬ জুন মধ্যরাতে এই বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার থাকলেও সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।