ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে করোনায় ভারতফেরত বৃদ্ধের মৃত্যু

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪২:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • ২৭৪ বার পড়া হয়েছে।

যশোরঃ

যশোরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খন্দকার জহুরুল হক (৭৪) নামে ভারতফেরত এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- লিয়াকত আলী (৫৬) ও আবুল কাশেম (৫৫)।

মঙ্গলবার (৮ জুন) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে খন্দকার জহুরুল হক, ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে লিয়াকত আলী এবং মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।

ডা. আরিফ জানান, হাসপাতালের রেড জোনে খন্দকার জহুরুলের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জিন্না নগর গ্রামে।গত পাঁচ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের রেড জোনে ভর্তি হন তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ডা. ফারজানা ইয়াসমিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লিয়াকত আলী সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর এলাকার মৃত আফসার আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন জ্বরসহ বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা হাসপাতালের ইয়েলো জোনে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

আবুল কাশেম ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। তিনিও বাড়িতে জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। পরে মঙ্গলবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে আনেন। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহম্মেদ তারেক শামস কোভিড-১৯ সন্দিগ্ধ হওয়ায় তাকে ইয়েলো জোনে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

Tag :

যশোরে করোনায় ভারতফেরত বৃদ্ধের মৃত্যু

Update Time : ১০:৪২:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

যশোরঃ

যশোরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খন্দকার জহুরুল হক (৭৪) নামে ভারতফেরত এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- লিয়াকত আলী (৫৬) ও আবুল কাশেম (৫৫)।

মঙ্গলবার (৮ জুন) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে খন্দকার জহুরুল হক, ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে লিয়াকত আলী এবং মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।

ডা. আরিফ জানান, হাসপাতালের রেড জোনে খন্দকার জহুরুলের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জিন্না নগর গ্রামে।গত পাঁচ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের রেড জোনে ভর্তি হন তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ডা. ফারজানা ইয়াসমিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লিয়াকত আলী সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর এলাকার মৃত আফসার আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন জ্বরসহ বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা হাসপাতালের ইয়েলো জোনে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

আবুল কাশেম ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। তিনিও বাড়িতে জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। পরে মঙ্গলবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে আনেন। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহম্মেদ তারেক শামস কোভিড-১৯ সন্দিগ্ধ হওয়ায় তাকে ইয়েলো জোনে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।