ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃত ১২

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
  • ২২৮ বার পড়া হয়েছে।

ফাইল ফটো

যশোরঃ

যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন ১২ জন।

শনাক্তের এ উর্ধ্বগতি রুখতে লকডাউন কার্যকরে জোর চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু নানা অজুহাত ও প্রয়োজনে অনেক মানুষ রাস্তায় বেরুচ্ছে।

যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৪৮ শতাংশ।
এদিন মারা গেছেন ১২ জন। এদের মধ্যে আটজন করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন। মৃত অন্য চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ১৫৯ জন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এখানে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ডাক্তার ও নার্স সংকট রয়েছে।

তিনি জানান, আজ হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টে লিকুইড অক্সিজেন ঢোকানো হচ্ছে। ফলে অক্সিজেন সরবরাহে আর সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন হাসপাতালের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

হাই ফ্লো অক্সিজেনের অভাবে যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের অনেকে ভয়ানক কষ্ট পাচ্ছেন। অনেকে মারা যাচ্ছেন। আবার অনেক রোগীকে শুধু অক্সিজেন পাওয়ার আশায় ঢাকা বা খুলনা নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ একবছরেরও বেশি সময় আগে এই হাসপাতালে হাই ফ্লো অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে এই কাজ এগোয়নি।

ক্ষুব্ধ রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, শুধু অক্সিজেন সংকটই নয়, এখানকার রেড জোনে ডাক্তাররা ঢোকেন না। তারা দূর থেকে রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখে বিদায় হন। ফলে কার্যত বিনাচিকিৎসায় অনেক কোভিড রোগীকে জীবন দিতে হয়েছে। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :

যশোরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃত ১২

Update Time : ০৭:১১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

যশোরঃ

যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন ১২ জন।

শনাক্তের এ উর্ধ্বগতি রুখতে লকডাউন কার্যকরে জোর চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু নানা অজুহাত ও প্রয়োজনে অনেক মানুষ রাস্তায় বেরুচ্ছে।

যশোর স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৪৮ শতাংশ।
এদিন মারা গেছেন ১২ জন। এদের মধ্যে আটজন করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন। মৃত অন্য চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ১৫৯ জন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এখানে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ডাক্তার ও নার্স সংকট রয়েছে।

তিনি জানান, আজ হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টে লিকুইড অক্সিজেন ঢোকানো হচ্ছে। ফলে অক্সিজেন সরবরাহে আর সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন হাসপাতালের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

হাই ফ্লো অক্সিজেনের অভাবে যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের অনেকে ভয়ানক কষ্ট পাচ্ছেন। অনেকে মারা যাচ্ছেন। আবার অনেক রোগীকে শুধু অক্সিজেন পাওয়ার আশায় ঢাকা বা খুলনা নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ একবছরেরও বেশি সময় আগে এই হাসপাতালে হাই ফ্লো অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে এই কাজ এগোয়নি।

ক্ষুব্ধ রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, শুধু অক্সিজেন সংকটই নয়, এখানকার রেড জোনে ডাক্তাররা ঢোকেন না। তারা দূর থেকে রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখে বিদায় হন। ফলে কার্যত বিনাচিকিৎসায় অনেক কোভিড রোগীকে জীবন দিতে হয়েছে। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

সবুজদেশ/এসইউ