যশোরে তরুণী আইসোলেশনে, ৫ বাড়ির সবাই কোয়ারেন্টাইনে
যশোরঃ
যশোরের চৌগাছায় এক তরুণী (১৮) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই নারীর সংস্পর্শে আসা উপজেলার পাঁচটি বাড়ির সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম জানান, ওই তরুণী যৌন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন বলে জানা গেছে। মেয়েটি মমিন নামে একজনকে স্বামী পরিচয় দিয়ে মার্চ মাসের শুরুতে চৌগাছা পৌর এলাকার পশ্চিম কারিকরপাড়ায় রবিউল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে ওঠেন। জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় সন্দেহবশত তাকে গতকাল (২৮ মার্চ) বিকেলে চৌগাছা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, ওই মেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তার ঠান্ডা, কাশি ও জ্বর ছিল। নমুনা সংগ্রহ করে আজ সকালে ঢাকায় আইইডিসিআরে এবং তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চৌগাছার ইউএনও জানান, ওই তরুণী পৌরসভার পশ্চিম কারিগরপাড়ার যে বাড়িতে ছিলেন, সেই বাড়ি ও তার পাশের আরো তিন বাড়ি এবং তার স্বামী পরিচয়দানকারী মমিনের হাকিমপুর গ্রামের বাড়ির সব সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, গতরাতে চৌগাছা থেকে আসা এক নারীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আজ আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে সিভিল সার্জনকে তার সংস্পর্শে আসা লোকজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তার সংস্পর্শে আসা লোকজনদের সম্পর্কে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। জেলা প্রশাসকের পরামর্শক্রমে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ বলেন, চৌগাছার এক মেয়েকে জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তার সংস্পর্শে আসা কয়েকটি বাড়ির সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।