যশোরঃ
যশোর সদর উপজেলায় আকলিমা বেগম (৫৫) নামের এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেশীর দাবি, মেয়ে রুমা খাতুনের (২৭) ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে আকলিমার স্বামীর দাবি, অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মেয়ে রুমা খাতুন পলাতক আছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, দোগাছিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শাহাজান আলীর স্ত্রী আকলিমা ও তার মেয়ে রুমার সঙ্গে শনিবার দুপুরে সাংসারিক কাজ নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মেয়ে রুমা তার মাকে জোরে ধাক্কা দিলে পাশে থাকা টিউবওয়েলের ওপর পড়ে গুরুতর আঘাত পান।
প্রতিবেশীরা পল্লীচিকিৎসক হযরত আলীকে চিকিৎসার জন্য ডেকে আনেন। কিন্তু তিনি আসার আগেই আকলিমা মারা যান। ঘটনার পরপরই রুমা পালিয়ে যান।
তবে মা-মেয়ের ঝগড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আকলিমার স্বামী শাহাজান আলী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। মাঠে গরু চড়াতে গিয়েছিলাম। ছেলের কাছ থেকে শুনতে পারি স্ত্রীর প্রেশার বেড়ে যাওয়ায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে।’
চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন বলেন, মেয়ের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে মা মারা গেছে, এলাকাবাসীর কাছ থেকে এমনটা শুনেছি। ঘটনার পরপরই মেয়ে পলাতক থাকায় ঘটনা সত্য মনে হচ্ছে। সে আটক হলে সত্য ঘটনা জানা যাবে।
সাজিয়ালী ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) সেলিম হোসেন বলেন, যেহেতু মৃত্যুটি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে এবং ঘটনার পরপরই মেয়ে পলাতক আছে এ কারণে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাদতন্তের রির্পোট হাতে পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না-কি অন্য কিছু।