যশোরে বালি ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় ১০ আসামি গ্রেফতার
যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরে আল-আমিন (৩২) নামে এক বালি ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন বুধবার রাতেই কোতয়ালি থানায় ১৯ জনের নামে মামলা করেছেন নিহতের পিতা আলমগীর হোসেন। রাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতকারকৃতরা হলেন, খড়কি পীরপাড়া এলাকার বাপ্পার স্ত্রী নাছরিন সুলতানা তুলি (২৫), সিদ্দিক হোসেনের ছেলে পিকুল হোসেন (১৯), সোবহানের ছেলে মিন্টু (৪৯) ও মন্টু (২৮), সিদ্দিক আলীর ছেলে মুকুল (১৯) ও বিপুল (২৪), মৃত বাবুর ছেলে শিমুল (১৮), মিন্টুর ছেলের ইমন (২০), সদর উদ্দিনের ছেলে টুটুল (৪৫), মৃত রহমত আলীর ছেলে মো. সিদ্দিক।
১ এপ্রিল বুধবার রাতে যশোর শহরের খড়কি পীরপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন আল আমিন। উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নেয়ার পথে গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত আল আমিন শহরের খড়কি কাসারদিঘি এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে। ওই হামলায় আরো দুইজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তারা হলেন- একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে আল আমিন (২৫), ইফাজতুল্লাহ সর্দারের ছেলে সাহেব আলী (৪৫)।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেলে আল আমিন ও তার বন্ধু শামীম মোটরসাইকেলে নাছরিন সুলতানা তুলির বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় তুলি তাদের দাঁড় করায়। এক পর্যায়ে লাথি মেরে মোটরসাইকেল ফেলে দিয়ে হুমকি দিয়ে বলে এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করবি না। এই ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আল আমিন ও তার বন্ধু শামিম, ছোট আল আমিন, প্রতিবেশি জলিল, সাহেব আলীসহ বাড়ির পাশে খড়কি পীরপাড়াস্থ জনৈক লুৎফর রহমানের চায়ের দোকানে অবস্থান করছিলেন। এসময় আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। এতে আল আমিন, ছোট আল আমিন, সাহেব আলী গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও বলেন, ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ৭/৮জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।