ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ১০:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে।

ফাইল ছবি-

 

যশোরের শার্শায় পূর্ব শত্রুতার জেরে লিটন হোসেন (৩০) নামে এক বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, রাত ৯ টার দিকে লিটন বাজারে বসে চা খাচ্ছিলো। এসময় ওই এলাকার সেলিম ও রমজান লিটনের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তার স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

নিহতের পিতা আজগর আলী জানান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আঃ মমিন, সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল আমার ছেলে লিটনের। তারা এর আগেও লিটনকে কয়েকবার মারধরও করেছে। ঈদের আগের দিন তর্ক-বিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এসবের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান পিতা আজগর আলী।

নাভারন সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টায় পুলিশের অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন বলেন, নিহত লিটন বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। পুর্বশত্রুতার জেরে সেলিম ও রমজানসহ ৩/৪ জন সন্ত্রাসী লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।

সবুজদেশ/এসইউ

আগামী ৩ থেকে ৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন: আইন উপদেষ্টা

যশোরে বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

Update Time : ১০:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

যশোরের শার্শায় পূর্ব শত্রুতার জেরে লিটন হোসেন (৩০) নামে এক বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, রাত ৯ টার দিকে লিটন বাজারে বসে চা খাচ্ছিলো। এসময় ওই এলাকার সেলিম ও রমজান লিটনের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তার স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

নিহতের পিতা আজগর আলী জানান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আঃ মমিন, সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল আমার ছেলে লিটনের। তারা এর আগেও লিটনকে কয়েকবার মারধরও করেছে। ঈদের আগের দিন তর্ক-বিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এসবের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান পিতা আজগর আলী।

নাভারন সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টায় পুলিশের অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন বলেন, নিহত লিটন বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। পুর্বশত্রুতার জেরে সেলিম ও রমজানসহ ৩/৪ জন সন্ত্রাসী লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।

সবুজদেশ/এসইউ