ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণে কর্মী নিহত

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ১০:২১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে।

ফাইল ছবি-

 

যশোরের শার্শায় প্রতিপক্ষের ককটেল হামলায় আব্দুল হাই (৫০) নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়ায় ঘটনাটি  ঘটে।

নিহত আব্দুল হাই ডুবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় বিএনপির লিটন গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডুবপাড়া জামতলা মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন আব্দুল হাই।

এ অবস্থায় তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান যে তার মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে স্থানীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। ওই সময় বাহাদুরপুর ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামসুরের ছেলে আবু সাইদসহ (৩৫) নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থককে ঈদের জামাতে অংশ নিতে বাধা দেন। এ সময় আব্দুল হাই বিষয়টির প্রতিবাদ করলে রাতে আবু সাইদসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে এসে আব্দুল হাইকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যান।

যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, আব্দুল হাই বিএনপির কর্মী। কে বা কারা ককটেল হামলা চালিয়েছে, তা তিনি জানেন না।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ককটেল হামলায় আব্দুল হাই মারা গেছেন। তার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। রোববার (৮ জুন) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

কালীগঞ্জে এমইউ কলেজে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

যশোরে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণে কর্মী নিহত

Update Time : ১০:২১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

 

যশোরের শার্শায় প্রতিপক্ষের ককটেল হামলায় আব্দুল হাই (৫০) নামে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়ায় ঘটনাটি  ঘটে।

নিহত আব্দুল হাই ডুবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় বিএনপির লিটন গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডুবপাড়া জামতলা মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন আব্দুল হাই।

এ অবস্থায় তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান যে তার মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে স্থানীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। ওই সময় বাহাদুরপুর ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামসুরের ছেলে আবু সাইদসহ (৩৫) নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থককে ঈদের জামাতে অংশ নিতে বাধা দেন। এ সময় আব্দুল হাই বিষয়টির প্রতিবাদ করলে রাতে আবু সাইদসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে এসে আব্দুল হাইকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যান।

যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, আব্দুল হাই বিএনপির কর্মী। কে বা কারা ককটেল হামলা চালিয়েছে, তা তিনি জানেন না।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ককটেল হামলায় আব্দুল হাই মারা গেছেন। তার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। রোববার (৮ জুন) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

সবুজদেশ/এসইউ