যশোরে বিএনপি নেতার নির্দেশে যুবদল নেতাকে হত্যা
যশোর:
যশোর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান ধোনীকে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ মানুয়ার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবলীগকর্মী ইয়াসিন আরাফাতের ভূমিকা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত মামলার প্রধান আসামিসহ তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত দা, চাইনিজ কুড়াল ও বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, বিএনপি নেতা শামীম আহম্মেদ মানুয়া ও বদিউজ্জামান ধোনীর মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। এরমধ্যে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেজপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মানুয়ার জামাতা যুবলীগকর্মী ইয়াসিন আরাফাত। ইয়াসিন আরাফাত হত্যা মামলায় ধোনীকে আসামি করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, ধোনীর বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে ১২টি মামলা রয়েছে। স্থানীয় যুবলীগকর্মী ইয়াসিন আরাফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। এ মামলায় মাসখানেক আগে ধোনী জেল থেকে বের হন। মানুয়া নামে বিএনপির যে নেতার সঙ্গে ধোনীর বিরোধ ছিল, তিনি ইয়াসিন আরাফাতের শ্বশুর।
গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে যশোরের নাজির শংকরপুরে আকবরের মোড় এলাকায় ধোনীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা । এ ঘটনায় বুধবার রাতে নগর বিএনপির নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান মনি।
আসামিরা হলেন, শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের সামনে আশ্রম রোডের আব্দুল আলীমের ছেলে আকাশ (২৫), মোহাম্মদ ফরিদের ছেলে রায়হান (২৪), শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড়ের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে ও যশোর নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ মানুয়া (৪৮), টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের পাশের মিরাজুল বিশ্বাসের ছেলে মন্টু ওরফে অপূর্ব ওরফে আলী রাজ (২২), টিবি ক্লিনিক এলাকার রইস উদ্দিনের ছেলে আল আমিন ওরফে চোর আল আমিন (২৫), আফসারের ছেলে মিলন (২৪), শংকরপুর হারান কলোনির উত্তর পাশের বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর (২০) ও চোপদারপাড়া রোডের মৃত হুজুর ইয়াসিনের বাড়ির পাশের লাভলুর ছেলে রিজভী (২৬)।
এদিকে ধোনীকে হত্যার পর মানুয়ার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তার স্বজনরাও। তাদের অভিযোগ, বিরোধের জেরে ধোনীকে ভাড়াটে লোক দিয়ে খুন করিয়েছেন বিএনপি নেতা শামীম আহমেদ মানুয়া। তিনি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এর আগে তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি ছিলেন।