ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তার

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ১০:০১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে।

 

যশোরে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারকে (২৩) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে বাবা-ছেলেকে।

আসামিরা হলেন সদর উপজেলার বাহাদুরপুর আড়পাড়া গ্রামের আলী আকবর (৬০) ও তার ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২)।

এজাহারে ওই নারী (২৩) উল্লেখ করেছেন, তিনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে হুমায়ুন কবিরের সাথে তার পরিচয় হয়। হুমায়ুন সে সময় নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেন। পরিচয়ের পর থেকে তারা বিভিন্ন সময় কথা বলতেন। এক সময় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান।

ওই বছরের গত ৩০ ডিসেম্বর ও ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই দফা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন আলী আকবর। পরবর্তীতে কারণে অকারণে মিথ্যা কথা বলে তার কাছ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। তার মায়ের পছন্দের কথা বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান এবং গত ২৭ মার্চ দুপুরে তার বাড়ির ঘরে ফের শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।

এরপর ওই নারীর কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন আলী আকবর। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বিয়ের কথা বললে অস্বীকার করেন।

পরে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন হুমায়ুন একজন প্রতারক। তিনি ডাক্তার নন। উচ্চবিত্তের পরিবারের সন্তান পরিচয় দিয়ে তিনি চারকিজীবী নারীদের প্রতরণার ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন এবং টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। বিয়ের কথা বললে তাদের সম্পর্কের কথা মানুষজনকে জানিয়ে দেবেন বলে ব্লাকমেইলিং করেন।

সবুজদেশ/এসইউ

যশোরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তার

যশোরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তার

Update Time : ১০:০১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

যশোরে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারকে (২৩) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে বাবা-ছেলেকে।

আসামিরা হলেন সদর উপজেলার বাহাদুরপুর আড়পাড়া গ্রামের আলী আকবর (৬০) ও তার ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২)।

এজাহারে ওই নারী (২৩) উল্লেখ করেছেন, তিনি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে হুমায়ুন কবিরের সাথে তার পরিচয় হয়। হুমায়ুন সে সময় নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেন। পরিচয়ের পর থেকে তারা বিভিন্ন সময় কথা বলতেন। এক সময় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান।

ওই বছরের গত ৩০ ডিসেম্বর ও ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই দফা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন আলী আকবর। পরবর্তীতে কারণে অকারণে মিথ্যা কথা বলে তার কাছ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। তার মায়ের পছন্দের কথা বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যান এবং গত ২৭ মার্চ দুপুরে তার বাড়ির ঘরে ফের শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।

এরপর ওই নারীর কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন আলী আকবর। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বিয়ের কথা বললে অস্বীকার করেন।

পরে তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন হুমায়ুন একজন প্রতারক। তিনি ডাক্তার নন। উচ্চবিত্তের পরিবারের সন্তান পরিচয় দিয়ে তিনি চারকিজীবী নারীদের প্রতরণার ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন এবং টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। বিয়ের কথা বললে তাদের সম্পর্কের কথা মানুষজনকে জানিয়ে দেবেন বলে ব্লাকমেইলিং করেন।

সবুজদেশ/এসইউ