ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে ভুয়া মেজরের ফাঁদে চিকিৎসক, ধর্ষণ ও ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ১১:০২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে।

 

যশোরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল ও ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মেজর পরিচয়দানকারী চিহ্নিত প্রতারক বেনজিরকে আটক করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্যরা। এ ঘটনায় এক নারী চিকিৎসক বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

আটক প্রতারক বেনজির হোসেন নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের জামির হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বেনজির যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের একটি ডেন্টাল চেম্বারে এক নারী চিকিৎসকের কাছে যান সেবা নিতে। এ সময় নিজেকে তিনি সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেন। এক পর্যায়ে তিনি বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই চিকিৎসকের সাথে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত একাধিকবার ওই চিকিৎসককে যশোর শহরের জাবির হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন বেনজির। এ সময় তিনি গোপনে ওই চিকিৎসকের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়েও একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন ।

মামলায় আরও বলা হয়, ওই নারীকে বেনজির আমেরিকায় নিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। একইসঙ্গে কৌশলে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর করা দুটি অলিখিত চেকও সংগ্রহ করেন।

চিকিৎসক টাকা ও চেক ফেরত চাইলে বেনজির তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। উল্টো তাকে হত্যার হুমকি দেন। পাশাপাশি গোপনে ধারণকৃত ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখান। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন বেনজির আসলে সেনাবাহিনীর কেউই না। তিনি একজন চিহ্নিত প্রতারক। বিশেষ বাহিনীর পরিচয়ে প্রতারণা করাই তাঁর কাজ।

ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঞা বলেন, আটকের পর বেনজির ঘটনার সব কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া অনুসন্ধানে আরও উঠেছে তার বিরুদ্ধে আরও একটি পর্নগ্রাফি আইনের মামলা, দুটি প্রতারণাসহ চারটি মামলা রয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফিরিয়ে দিল ভারত

যশোরে ভুয়া মেজরের ফাঁদে চিকিৎসক, ধর্ষণ ও ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ

Update Time : ১১:০২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

যশোরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল ও ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মেজর পরিচয়দানকারী চিহ্নিত প্রতারক বেনজিরকে আটক করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্যরা। এ ঘটনায় এক নারী চিকিৎসক বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

আটক প্রতারক বেনজির হোসেন নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের জামির হোসেনের ছেলে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বেনজির যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের একটি ডেন্টাল চেম্বারে এক নারী চিকিৎসকের কাছে যান সেবা নিতে। এ সময় নিজেকে তিনি সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেন। এক পর্যায়ে তিনি বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই চিকিৎসকের সাথে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত একাধিকবার ওই চিকিৎসককে যশোর শহরের জাবির হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন বেনজির। এ সময় তিনি গোপনে ওই চিকিৎসকের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়েও একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন ।

মামলায় আরও বলা হয়, ওই নারীকে বেনজির আমেরিকায় নিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। একইসঙ্গে কৌশলে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর করা দুটি অলিখিত চেকও সংগ্রহ করেন।

চিকিৎসক টাকা ও চেক ফেরত চাইলে বেনজির তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। উল্টো তাকে হত্যার হুমকি দেন। পাশাপাশি গোপনে ধারণকৃত ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখান। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন বেনজির আসলে সেনাবাহিনীর কেউই না। তিনি একজন চিহ্নিত প্রতারক। বিশেষ বাহিনীর পরিচয়ে প্রতারণা করাই তাঁর কাজ।

ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল হক ভুঞা বলেন, আটকের পর বেনজির ঘটনার সব কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া অনুসন্ধানে আরও উঠেছে তার বিরুদ্ধে আরও একটি পর্নগ্রাফি আইনের মামলা, দুটি প্রতারণাসহ চারটি মামলা রয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ