ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে মাদক ব্যবসায়ীর ১০ বছরের কারাদন্ড

ফাইল ছবি-

 

যশোরে ইয়াবা মামলায় মুমিনা খাতুন কাজল নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীর ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি নজরুল ইসলামকে খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাকির হোসেন টিপু এ রায়ে প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত মুমিনা খাতুন যশোর শহরের লালদীঘির পূর্বপাড় এলাকার আব্দুল মজিদ শেখের মেয়ে ও মৃত অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানের স্ত্রী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট যশোর ডিবি পুলিশ সদর উপজেলার মন্ডলগাতি গ্রামে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে মুমিনা খাতুন কাজলকে আটক করে। এ সময় তার ব্যাগ তল্লাশি করে পলিথিনের ১৯টি প্যাকেট রাখা ৩ হাজার ৮শ ৪৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় আটক মুমিনার স্বীকারোক্তিতে পলাতক নজরুল ও জামালকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন।

মামলার তদন্ত শেষে আসামি মুমিনা ও নজরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে ওই বছরের ৩১ অক্টোরব আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলেও ঠিকানা না পাওয়ায় জামালের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি মুমিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মুমিনা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
About Author Information

যশোরে মাদক ব্যবসায়ীর ১০ বছরের কারাদন্ড

Update Time : ১০:০৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

যশোরে ইয়াবা মামলায় মুমিনা খাতুন কাজল নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীর ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি নজরুল ইসলামকে খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাকির হোসেন টিপু এ রায়ে প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত মুমিনা খাতুন যশোর শহরের লালদীঘির পূর্বপাড় এলাকার আব্দুল মজিদ শেখের মেয়ে ও মৃত অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমানের স্ত্রী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট যশোর ডিবি পুলিশ সদর উপজেলার মন্ডলগাতি গ্রামে অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে মুমিনা খাতুন কাজলকে আটক করে। এ সময় তার ব্যাগ তল্লাশি করে পলিথিনের ১৯টি প্যাকেট রাখা ৩ হাজার ৮শ ৪৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় আটক মুমিনার স্বীকারোক্তিতে পলাতক নজরুল ও জামালকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন।

মামলার তদন্ত শেষে আসামি মুমিনা ও নজরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে ওই বছরের ৩১ অক্টোরব আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পেলেও ঠিকানা না পাওয়ায় জামালের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি মুমিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মুমিনা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

সবুজদেশ/এসইউ