যশোরের অভয়নগরে শ্বশুরবাড়ির শিরীষগাছ থেকে শাকিল আহমেদ পরামানিক ওরফে শাকিল (২৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে উপজেলার ভাঙ্গাগেট লক্ষীপুর গ্রামের খন্দকারপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শাকিল কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম পরামানিকের ছেলে। তিনি অভয়নগরের নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকার সরদার মিল ঘাটে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে অভয়নগর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের খন্দকারপাড়ার শহিদুল ইসলাম ওরফে সোহেলের মেয়ে সিনথিয়ার সঙ্গে শাকিলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শাকিল শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করছিলেন। তাদের সংসারে সাফওয়ান নামে চার বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
গত এক বছর ধরে শাকিলকে স্থানীয় ও বহিরাগত মাদক কারবারিদের সঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
নিহতের স্ত্রী সিনথিয়া বেগম বলেন, ‘সোমবার রাত ১০টার দিকে জরুরি কাজের কথা বলে শাকিল ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর রাতে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পেছনের একটি শিরীষগাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানা নেই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
শাকিলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ওরফে সোহেল বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে শাকিল আমাদের বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন। সম্প্রতি সে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল, যা আত্মহত্যার কারণ হতে পারে। তবে পুলিশি তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল ‘খ’) মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সবুজদেশ/এসইউ