যশোরঃ

দৈনিক সমকালের প্রকাশক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকসহ পত্রিকার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যশোরে মানহানির মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ আব্দুল খালেক বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।

আসামিরা হলেন, সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, ভারপ্রাপ্ত  সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ও প্রতিবেদক জয়নাল আবেদিন।

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র বিচারক গৌতম মল্লিক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-কে। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, আলহাজ আব্দুল খালেক যশোরের বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত সদস্য। তিনি জনকল্যাণমূলক কাজে যথেষ্ট সুনাম, মর্যাদা ও প্রশংসা অর্জন করেছেন। ১৯৭২ সালে যশোর সরকারি এমএম কালেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ছাত্রলীগের মনোনয়নে কলেজ ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক, ১৯৯২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি ২০০১ পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এরধ্যে ১৯৯৬ সালে যশোর শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ১ অক্টোবর দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ‘যশোরে ফের আলোচনায় শাহীন চাকলাদার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের এক স্থানে বলা হয়, ‘শাহীনের হাত ধরে দলে অনেক বিতর্কিত নেতা ঢুকেছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে যশোরে একাধিক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন আব্দুল খালেক। বর্তমানে তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।’

আব্দুল খালেক অভিযোগে বলেন, আসামিরা তার রাজনৈতিক, সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ন করতে পরিকল্পিতভাবে এ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। এর আগে সমকালে খবরটি প্রকাশের পর পরই সংবাদ সম্মেলনে এসে আব্দুল খালেক একই দাবি করেছিলেন। সেদিনই তিনি সমকালের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here