ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে সাপের কামড়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৮:৫২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ১৫৮ বার পড়া হয়েছে।

ফাইল ছবি-

 

যশোরের ঝিকরগাছার বাঁকড়া গ্রামে বিষধর সাপের কামড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন (৯) মারা গেছে। তার মা খাদিজা বেগমও সাপের কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে বাঁকড়া দাসপাড়ায় ইমাদুল ইসলামের বাড়িতে মা-মেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিষধর একটি সাপ তাদের দুজনকে দংশন করে। তাদের চিৎকার শুনে ইমাদুল ঘুম থেকে উঠে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।

এরপর তাদের অবস্থা খারাপ হলে স্থানীয়ভাবে ঝাড়ফুঁকের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় ভোররাতে যশোর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমাইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে খাদিজা বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সুমায়ার দাদা মোসলেম গাইন জানান, রাত একটার কিছু পরে তিনি চিৎকার শুনে অন্য ঘর থেকে এসে দেখেন মা ও মেয়ে সাপে কাটা। বহু সময় ঝাড়ফুঁকের পরও কাজ না হওয়ায় তারা হাসপাতালে যান। বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে সুমাইয়া মারা যায়।

এর আগের দিন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁকড়া ইউনিয়নের বড় খলসি গ্রামে বিষধর সাপে কেটে মারা যান কৃষক মিলন সরদার (৪৫)। তিনি গরু আনতে মাঠে গেলে সাপে কাটে। বাড়ি ফিরে প্রথমে স্থানীয় ওঝার ঝাড়ফুঁক করালেও অবস্থার অবনতি হলে কলারোয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বাঁকড়া ও আশপাশের এলাকায় পরপর কয়েকটি বিষধর সাপের কামড়ের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফিরিয়ে দিল ভারত

যশোরে সাপের কামড়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু

Update Time : ০৮:৫২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

যশোরের ঝিকরগাছার বাঁকড়া গ্রামে বিষধর সাপের কামড়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন (৯) মারা গেছে। তার মা খাদিজা বেগমও সাপের কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে বাঁকড়া দাসপাড়ায় ইমাদুল ইসলামের বাড়িতে মা-মেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিষধর একটি সাপ তাদের দুজনকে দংশন করে। তাদের চিৎকার শুনে ইমাদুল ঘুম থেকে উঠে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।

এরপর তাদের অবস্থা খারাপ হলে স্থানীয়ভাবে ঝাড়ফুঁকের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় ভোররাতে যশোর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমাইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে খাদিজা বেগম আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সুমায়ার দাদা মোসলেম গাইন জানান, রাত একটার কিছু পরে তিনি চিৎকার শুনে অন্য ঘর থেকে এসে দেখেন মা ও মেয়ে সাপে কাটা। বহু সময় ঝাড়ফুঁকের পরও কাজ না হওয়ায় তারা হাসপাতালে যান। বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে সুমাইয়া মারা যায়।

এর আগের দিন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁকড়া ইউনিয়নের বড় খলসি গ্রামে বিষধর সাপে কেটে মারা যান কৃষক মিলন সরদার (৪৫)। তিনি গরু আনতে মাঠে গেলে সাপে কাটে। বাড়ি ফিরে প্রথমে স্থানীয় ওঝার ঝাড়ফুঁক করালেও অবস্থার অবনতি হলে কলারোয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বাঁকড়া ও আশপাশের এলাকায় পরপর কয়েকটি বিষধর সাপের কামড়ের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ