মোবাইলে নিজ স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের ভিডিও ধারণ করে ঘরে বসে ওই ভিডিও দেখছিল তরিকুল ইসলাম মিঠু দম্পতি। এসময় প্রতিবেশী ৬ বছরের শিশু লুকিয়ে তা দেখে ফেলে। এর পর শিশুটি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করলে ওই দম্পতি তড়িঘড়ি করে ভিডিও বন্ধ করে দেন। পরে কৌশলে ওই শিশুকে নিজেদের রান্নাঘরে নিয়ে বিবস্ত্র করার চেষ্টাকালে শিশুটির নানি দেখে ফেলেন। তখন শিশুটিকে ফেলে পালিয়ে যায় তরিকুল ইসলাম মিঠু (৩৫)।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) যশোরের ভেকুটিয়া কোলোনি মোড়ের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত মিঠু (৩৫)।
রোববার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে বারোটার দিকে মিঠু তার বাড়ি ফিরলে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মিঠুকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় আনলে আগে থেকে থানায় অবস্থান নেয়া ওই এলাকার লোকজন গণপিটুনি দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের গাড়ি থেকে লাফিয়ে দৌড়ে নিজেই থানা হাজতে ঢোকার চেষ্টা করে মিঠু। হাজতের গেট তালাবদ্ধ থাকায় সেখানে দ্বিতীয় দফা গণপিটুনির শিকার হয় সে। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মিঠুকে হাজতে ঢোকায়।
এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় শিশুটির নানি মিঠুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত কাজী বাবুল।
সবুজদেশ/এসইউ