যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনের নামে আদালতে মামলা করেছেন জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের জেলা সভাপতি রাশিদা রহমান। রোববার (৯ নভেম্বর) যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন তিনি।
রাশিদা রহমানের অভিযোগ, দেলোয়ার হোসেন খোকন তাকে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেন, কোন কোন সময়ে অপমান-অপদস্ত করেছেন, রাগান্বিত হয়ে মারতে উদ্যত হয়েছেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মণ্ডল এই বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৭ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে যশোর ডিবির ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় রাশিদা রহমান উল্লেখ করেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলা মহিলাদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। দেলোয়ার হোসেন খোকন রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে বারবার অপমান ও অপদস্ত করেছেন। দলের অঙ্গসংগঠনের সভাপতি হিসেবে তিনি এতদিন এসব অপমান চুপচাপ সহ্য করে আসছিলেন।
৮ নভেম্বর যশোর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় দেলোয়ার হোসেন খোকন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিদের সামনে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তিনি রাশিদা রহমানকে মারতেও উদ্যত হন।
রাশিদা রহমান জানান, লোকজনের সামনে এমন আচরণে তিনি ভীষণ লজ্জিত ও অপমানিত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে তিনি কোতোয়ালি থানায় গিয়ে মামলা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেয়। এরপরই তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, আমি তাকে (রাশিদা রহমান) বকেছি, এটা সত্য। তার ছেলেরা যা করে বেড়ায়, তা তো সবাই জানে। দলের স্বার্থে সেক্রেটারি হিসেবে কাউকে বকলে মামলা হবে এটা তো আগে কখনও শুনিনি। যাই হোক, তিনি সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। এখন আমার আর বলার কিছু নেই।
সবুজদেশ/এসএএস
সবুজদেশ ডেস্ক: 


















