ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যাবজ্জীবন সাজায় সহজ হলো দেশে ফেরানো

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের খবর শুনে প্রথমে আশ্চর্য হয়েছিলাম। পরে ভেবে দেখলাম এতেই লাভ হয়েছে। এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা খাটানোর পথটি অন্তত খুলে গেছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, এখন সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাইকমিশনের মাধ্যমে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে বলে আমি আশা করি। পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা দরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই সেদিকে মনোযোগী হবে। যাতে দ্রুত তারেক রহমানকে বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে এসে তার সাজা কার্যকর করা যায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার আসামিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যে মৃত্যুদণ্ডের অজুহাতটা দেওয়া হচ্ছে, এখানে সে অজুহাতের সুযোগ নেই। ২০০৪ সালে এ হামলার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল জানিয়ে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ওই তদন্ত কমিটিতে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ, ড. কামাল হোসেন, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আমি এবং রাজশাহীর একজন আইনজীবী ছিলেন। পাঁচজনে মিলে একটা রিপোর্ট তৈরি করেছিলাম। সে রিপোর্টে আমরা সব কিছু নির্ণয় করেছিলাম। কারা, কীভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, কীভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল, তার প্রত্যেকটা বিষয়ে আমরা লিখেছিলাম। সেই রিপোর্টে আমরা বলেছিলাম, সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল এবং এর মূল উদ্দেশ্য ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৮
৮৩৫ Time View

যাবজ্জীবন সাজায় সহজ হলো দেশে ফেরানো

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের খবর শুনে প্রথমে আশ্চর্য হয়েছিলাম। পরে ভেবে দেখলাম এতেই লাভ হয়েছে। এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা খাটানোর পথটি অন্তত খুলে গেছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, এখন সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাইকমিশনের মাধ্যমে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে বলে আমি আশা করি। পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা দরকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই সেদিকে মনোযোগী হবে। যাতে দ্রুত তারেক রহমানকে বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে এসে তার সাজা কার্যকর করা যায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার আসামিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যে মৃত্যুদণ্ডের অজুহাতটা দেওয়া হচ্ছে, এখানে সে অজুহাতের সুযোগ নেই। ২০০৪ সালে এ হামলার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল জানিয়ে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ওই তদন্ত কমিটিতে সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ, ড. কামাল হোসেন, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, আমি এবং রাজশাহীর একজন আইনজীবী ছিলেন। পাঁচজনে মিলে একটা রিপোর্ট তৈরি করেছিলাম। সে রিপোর্টে আমরা সব কিছু নির্ণয় করেছিলাম। কারা, কীভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, কীভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল, তার প্রত্যেকটা বিষয়ে আমরা লিখেছিলাম। সেই রিপোর্টে আমরা বলেছিলাম, সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল এবং এর মূল উদ্দেশ্য ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।