যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানেও আফগানিস্তান নিরাপদ ছিলো না : এরদোগান
সবুজদেশ ডেস্কঃ
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সময়ও দেশটিতে নিরাপত্তা ছিলো না।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের সাথে সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সফরের সময় সিবিএস নিউজকে এই সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
এরদোগান বলেন, ‘দুই দশক ধরে মার্কিন উপস্থিতির মধ্যেও এই অঞ্চল নিরাপদ ছিলো না। এর বিপরীতে প্রতিদিনই এই অঞ্চলে আরো বেশি রক্ত ঝরেছে।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আফগানিস্তানে তাদের ২০ বছরের অবস্থান ও প্রত্যাহার সম্পর্কে নিজেদের প্রশ্ন করা।
এরদোগান বলেন, তুরস্ক কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারতো। তুরস্কের শর্ত ছিলো, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান এবং বিমানবন্দরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তুরস্কের হাতে হস্তান্তরের মাধ্যমে লজিস্টিক সহায়তা দিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এর বদলে সেখানে ভিন্ন ঘটনা ঘটো। কারজাই বিমানবন্দরের সব অস্ত্র, গোলাবারুদ ও যানবাহন তালেবানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তালেবান মার্কিন অস্ত্র নিয়ে সেখানে রয়েছে।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্ক তার সম্পূর্ণ সৈন্য ও নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, তালেবানের সাথে এখনো তুরস্কের কোনো চুক্তি হয়নি এবং বর্তমানে কাতারের সাথেই মূলত তালেবান কাজ করে চলছে।
কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনায় তুরস্ক সাহায্য করবে কি না, জিজ্ঞেস করা হলে এরদোগান জানান, এটি চুক্তির ওপর নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, ‘পারস্পারিক ইতিবাচক চুক্তির মাধ্যমে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে কিন্তু বর্তমানে আফগানিস্তানে সরকার সমন্বিত না।
এরদোগান বলেন, ‘সমন্বিত না এমন কোনো সরকারের সাথে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না।’
আফগানিস্তানে সকলের সমন্বয় হলেই তুরস্ক বরাবরের মতো দেশটির পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
একইসাথে সাক্ষাৎকারে আফগান নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার বিভাগসহ জীবনের সবক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, এই ক্ষেত্রে তুরস্ক আফগানিস্তানকে সহায়তা করতে পারে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি