ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালো ভারত ও পাকিস্তান

 

চলমান উত্তেজনা প্রশমিত করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন তুলেছে। আর ঘোষণাটি এসেছে স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে। 

শনিবার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতভর দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও দুরদৃষ্টির জন্য দুই দেশকেই শুভেচ্ছা!’

এদিন বিকালে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিশ্চিত করেছেন, দুই দেশ একটি নিরপেক্ষ স্থানে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও উল্লেখ করেন।

মার্কো রুবিও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিকের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলাপ করেছেন।

রুবিও বলেন, ‘আমরা দুই প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শরিফের দূরদর্শিতা ও শান্তিপূর্ণ পথে এগোনোর সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই’।

এদিকে সংশ্লিষ্ট কোনো দেশই এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে ট্রাম্প ও রুবিওর বক্তব্যে সংকেত মিলছে যে, গত ৪৮ ঘণ্টায় কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।

এই যুদ্ধবিরতির পেছনে মার্কিন প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা সুস্পষ্ট। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের হস্তক্ষেপ।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে—এই যুদ্ধবিরতি কি দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তির দ্বার উন্মোচন করতে পারে?

সবুজদেশ/এসইউ

যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালো ভারত ও পাকিস্তান

Update Time : ০৭:৪৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

চলমান উত্তেজনা প্রশমিত করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন তুলেছে। আর ঘোষণাটি এসেছে স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে। 

শনিবার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতভর দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও দুরদৃষ্টির জন্য দুই দেশকেই শুভেচ্ছা!’

এদিন বিকালে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিশ্চিত করেছেন, দুই দেশ একটি নিরপেক্ষ স্থানে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও উল্লেখ করেন।

মার্কো রুবিও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আসিম মালিকের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলাপ করেছেন।

রুবিও বলেন, ‘আমরা দুই প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শরিফের দূরদর্শিতা ও শান্তিপূর্ণ পথে এগোনোর সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই’।

এদিকে সংশ্লিষ্ট কোনো দেশই এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে ট্রাম্প ও রুবিওর বক্তব্যে সংকেত মিলছে যে, গত ৪৮ ঘণ্টায় কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে।

এই যুদ্ধবিরতির পেছনে মার্কিন প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা সুস্পষ্ট। বিশেষত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের হস্তক্ষেপ।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে—এই যুদ্ধবিরতি কি দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তির দ্বার উন্মোচন করতে পারে?

সবুজদেশ/এসইউ