ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির বলেছেন, যদি পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে তার দেশ পূর্ণ সামরিক শক্তি দিয়ে তার জবাব দেবে।
সোমবার পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার জেরে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যখন উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, ঠিক সেই সময়ে এই হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান।
পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। ভারত হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে আসছে। তবে পাকিস্তান ওই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক চাপা উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলতে থাকে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্য’ রয়েছে—যা ইঙ্গিত করে যে, ভারত সম্ভাব্য সামরিক অভিযান চালাতে পারে। আর এতেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের শঙ্কা বেড়েছে।
সোমবার রাওয়ালপিন্ডির জেনারেল হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত ১৫তম ন্যাশনাল ওয়ার্কশপ বেলুচিস্তান-এ অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে জেনারেল মুনির বলেন, ‘পাকিস্তান আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি চায়। তবে আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হলে জাতীয় মর্যাদা ও জনগণের কল্যাণ রক্ষায় আমরা পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেব’।
তিনি এ সময় বেলুচিস্তানের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ওপর সরকারের জোর গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। সেনাপ্রধান বলেন, সরকারের অনেকগুলো প্রকল্প ইতোমধ্যেই সুফল দিতে শুরু করেছে।
জেনারেল মুনির বলেন, বেলুচিস্তানে বিদেশ-প্ররোচিত সন্ত্রাসবাদ এখনো সবচেয়ে বড় হুমকি। যারা সহিংসতা উসকে দিতে চায় ও এই প্রদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের ‘ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না’।
তিনি বলেন, ‘যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বেলুচ পরিচয়ের নামে বিভ্রান্তিকর ও হিংসাত্মক এজেন্ডা চালিয়ে যাচ্ছে, তারা বেলুচ মর্যাদার প্রতি অপমান’।
সেনাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম, জাতি, বা গোষ্ঠী নেই—এবং তা প্রতিহত করতে হবে জাতীয় ঐক্য নিয়ে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো জনগণের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
সূত্র: জিও নিউজ