ঢাকা ১২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে তালেবানের ‘আপসহীন’ শত্রু ‘আইএস-কে’

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে।

ছবি : সংগৃহীত

সবুজদেশ ডেস্কঃ

কাবুলে আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস।  এই হামলার পেছনে আইএসের খোরাসান শাখাকে দায়ী  করেছে  ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দফতর।

তবে তালেবান আর আইএস-কে- দুই সংগঠনই কট্টর সুন্নি ইসলামপন্থী হলেও তাদের মধ্যে বিশেষ বনিবনা নেই। বরং আইএস-কে নিজেদের ‘আপসহীন’ শত্রু মনে করে তালেবান।  মূলত মতাদর্শগত কারণেই তাদের এই শত্রুতার শুরু। দুই সংগঠনই নিজেদের প্রকৃত জিহাদি মনে করে।

আইএস-কে সংগঠনকে আবার যুক্তরাষ্ট্রও নিজেদের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে মোটেও খুশি হয়নি আইএস-কে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতা করেই তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে বলে মনে করে  আইএস-কে।  তাই এক সাথে যুক্তরাষ্ট্র আর তালেবান-দুই শত্রুকে শায়েস্তা করতে এই আইএস-কে এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য ক্ষমতা দখলের পর হামলার মাধ্যমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে তালেবানকে বিব্রত অবস্থায় ফেলাই সংগঠনটির উদ্দেশ। 

২০১৪ সালে ‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট’ বা ‘আইএসআইএস’ ইরাক ও সিরিয়ায় খিলাফত ঘোষণা করে। তার কয়েক মাস পরেই পাকিস্তানি তালেবানদের থেকে বিচ্ছিন্ন সদস্যরা আফগানিস্তানের সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি নতুন আঞ্চলিক সংগঠন শুরু করে।

ওই সংগঠনই ২০১৪ সালে স্বঘোষিত ইসলামিক স্টেটের শাখা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। নাম হয় আইএসআইএস-খোরাসান বা আইএস-কে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানেই মূলত কার্যক্রম চালায় এই গোষ্ঠী।

Tag :
জনপ্রিয়

যে কারণে তালেবানের ‘আপসহীন’ শত্রু ‘আইএস-কে’

Update Time : ০৮:৫৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

কাবুলে আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস।  এই হামলার পেছনে আইএসের খোরাসান শাখাকে দায়ী  করেছে  ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দফতর।

তবে তালেবান আর আইএস-কে- দুই সংগঠনই কট্টর সুন্নি ইসলামপন্থী হলেও তাদের মধ্যে বিশেষ বনিবনা নেই। বরং আইএস-কে নিজেদের ‘আপসহীন’ শত্রু মনে করে তালেবান।  মূলত মতাদর্শগত কারণেই তাদের এই শত্রুতার শুরু। দুই সংগঠনই নিজেদের প্রকৃত জিহাদি মনে করে।

আইএস-কে সংগঠনকে আবার যুক্তরাষ্ট্রও নিজেদের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে মোটেও খুশি হয়নি আইএস-কে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতা করেই তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে বলে মনে করে  আইএস-কে।  তাই এক সাথে যুক্তরাষ্ট্র আর তালেবান-দুই শত্রুকে শায়েস্তা করতে এই আইএস-কে এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য ক্ষমতা দখলের পর হামলার মাধ্যমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে তালেবানকে বিব্রত অবস্থায় ফেলাই সংগঠনটির উদ্দেশ। 

২০১৪ সালে ‘ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট’ বা ‘আইএসআইএস’ ইরাক ও সিরিয়ায় খিলাফত ঘোষণা করে। তার কয়েক মাস পরেই পাকিস্তানি তালেবানদের থেকে বিচ্ছিন্ন সদস্যরা আফগানিস্তানের সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি নতুন আঞ্চলিক সংগঠন শুরু করে।

ওই সংগঠনই ২০১৪ সালে স্বঘোষিত ইসলামিক স্টেটের শাখা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। নাম হয় আইএসআইএস-খোরাসান বা আইএস-কে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানেই মূলত কার্যক্রম চালায় এই গোষ্ঠী।