ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে শহরে পর্যটকদের হাতে বন্দুক থাকে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:০৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
  • ৭৩০ বার পড়া হয়েছে।

সবুজদেশ ডেস্কঃ

প্রকৃতির জীব বৈচিত্র দেখতে বিশ্বের এপার-ওপার ছুটে বেড়ান পর্যটকরা। কিন্তু সেই পর্যটকদেরই যদি নিরাপত্তার খাতিয়ে বন্দুক নিয়ে ঘুরতে হয় তবে বিষয়টি একটু দৃষ্টি কটু তো লাগবেই।

সম্প্রতি ইতালির ভেনিসের একটি হোটেল মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের হাতে জল-বন্দুক তুলে দিয়েছে। এই বন্দুকে কমলা রঙের পানি ব্যবহার করা হয়েছে। গাঙচিলদের ঠেকাতেই এই বন্দুর হাতে তুলে নিয়েছেন পর্যটকরা।

হোটেল মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানান, পাখির জ্বালা থেকে বাঁচতেই এই সিদ্ধান্ত। গাঙচিল যখনই সুযোগ পাচ্ছে ছোঁ মেরে সব নিয়ে যাচ্ছে। পর্যটকরা খাবার খেয়েও স্বস্তি পাচ্ছে না। একটু সুযোগ পেলেই গাঙচিল এসে সব নিয়ে যাচ্ছে। এই পাখিদের ঠেকাতেই জল বন্দুক রাখা হয়েছে। পর্যটকদের হাতে  এই বন্দুক দেখেই পাখিরা কাছে ভিড়ে না। দূর থেকেই চলে যায়। শুধু বন্দুকটি হাতে নিয়ে ঘুরলেই হলো। এটি ব্যবহারও করতে হয় না।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এই জল-বন্দুক কোনো পাখির প্রাণহানির জন্য দায়ী হবে না। এটি শুধু পাখিকে কাছে ঘেঁষতে দিবে না। গাঙচিলরাও বন্দুকের উপস্থিতি টের পেয়ে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে নিচ্ছে।

পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর সুবিধার্থেই সম্প্রতি এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

সবুজদেশ/এস ইউ

Tag :

ঝিনাইদহ খাদ্যগুদামে ৩৩ মেট্রিক টন গম জব্দ, তদন্ত কমিটি গঠন

যে শহরে পর্যটকদের হাতে বন্দুক থাকে

Update Time : ০৯:০৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২

সবুজদেশ ডেস্কঃ

প্রকৃতির জীব বৈচিত্র দেখতে বিশ্বের এপার-ওপার ছুটে বেড়ান পর্যটকরা। কিন্তু সেই পর্যটকদেরই যদি নিরাপত্তার খাতিয়ে বন্দুক নিয়ে ঘুরতে হয় তবে বিষয়টি একটু দৃষ্টি কটু তো লাগবেই।

সম্প্রতি ইতালির ভেনিসের একটি হোটেল মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের হাতে জল-বন্দুক তুলে দিয়েছে। এই বন্দুকে কমলা রঙের পানি ব্যবহার করা হয়েছে। গাঙচিলদের ঠেকাতেই এই বন্দুর হাতে তুলে নিয়েছেন পর্যটকরা।

হোটেল মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানান, পাখির জ্বালা থেকে বাঁচতেই এই সিদ্ধান্ত। গাঙচিল যখনই সুযোগ পাচ্ছে ছোঁ মেরে সব নিয়ে যাচ্ছে। পর্যটকরা খাবার খেয়েও স্বস্তি পাচ্ছে না। একটু সুযোগ পেলেই গাঙচিল এসে সব নিয়ে যাচ্ছে। এই পাখিদের ঠেকাতেই জল বন্দুক রাখা হয়েছে। পর্যটকদের হাতে  এই বন্দুক দেখেই পাখিরা কাছে ভিড়ে না। দূর থেকেই চলে যায়। শুধু বন্দুকটি হাতে নিয়ে ঘুরলেই হলো। এটি ব্যবহারও করতে হয় না।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এই জল-বন্দুক কোনো পাখির প্রাণহানির জন্য দায়ী হবে না। এটি শুধু পাখিকে কাছে ঘেঁষতে দিবে না। গাঙচিলরাও বন্দুকের উপস্থিতি টের পেয়ে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে নিচ্ছে।

পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর সুবিধার্থেই সম্প্রতি এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

সবুজদেশ/এস ইউ