ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক আর নেই

Reporter Name

ঢাকাঃ

বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা আর নেই। রোববার (১১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মিতা হকের মেয়ে ফারহিন খান জয়িতা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মিতা হকের জামাতা অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ‘মিতা হক সকাল ৬.২০ এ চলে গেলেন। চলেই গেলেন। সবাই ভালোবাসা আর প্রার্থনায় রাখবেন।’

জানা যায়, গত ২৫ মার্চ মিতা হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন। ৩১ মার্চ তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১১দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি সুস্থও হয়ে ওঠেন।

৯ এপ্রিল তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ১০ এপ্রিল (শনিবার) সকালের দিকে হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। এরপর তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই আজ সকালে তিনি মারা যান। মিতা হক গত কিডনি রোগেও ভুগছিলেনন।

মিতা হক ১৯৬২ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত অভিনেতা-পরিচালক খালেদ খানের সঙ্গে স্ত্রী এই দম্পতির ফারহিন খান জয়িতা নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

মিতা হক প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সঙ্গীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সঙ্গীত পরিবেশনা করছেন।

তিনি সুরতীর্থ নামে একটি সঙ্গীতপ্রশিক্ষণ দল গঠন করেন যেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষকে হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন।

মিতা হক বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। তিনি ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:০২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
২৬১ Time View

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক আর নেই

আপডেট সময় : ১০:০২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

ঢাকাঃ

বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা আর নেই। রোববার (১১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মিতা হকের মেয়ে ফারহিন খান জয়িতা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মিতা হকের জামাতা অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ‘মিতা হক সকাল ৬.২০ এ চলে গেলেন। চলেই গেলেন। সবাই ভালোবাসা আর প্রার্থনায় রাখবেন।’

জানা যায়, গত ২৫ মার্চ মিতা হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন। ৩১ মার্চ তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১১দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি সুস্থও হয়ে ওঠেন।

৯ এপ্রিল তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ১০ এপ্রিল (শনিবার) সকালের দিকে হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। এরপর তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই আজ সকালে তিনি মারা যান। মিতা হক গত কিডনি রোগেও ভুগছিলেনন।

মিতা হক ১৯৬২ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত অভিনেতা-পরিচালক খালেদ খানের সঙ্গে স্ত্রী এই দম্পতির ফারহিন খান জয়িতা নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

মিতা হক প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক এবং পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বার্লিন আন্তর্জাতিক যুব ফেস্টিভালে অংশ নেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে সঙ্গীত শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সঙ্গীত পরিবেশনা করছেন।

তিনি সুরতীর্থ নামে একটি সঙ্গীতপ্রশিক্ষণ দল গঠন করেন যেখানে তিনি পরিচালক ও প্রশিক্ষকে হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া তিনি ছায়ানটের রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন।

মিতা হক বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। তিনি ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সঙ্গীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।