ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৫:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৫ বার পড়া হয়েছে।

 

রসায়নবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর নোবেল জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমর এম ইয়াগি। ‘মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক’ উদ্ভাবনের কারণে তাদের এ বছর রসায়নে নোবেল দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

সুসুমু কিতাগাওয়া জাপানের কিউটো বিশ্ববিদ্যালয়, রিচার্ড রবসন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওমার এম ইয়াগি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

নোবেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ তিনজন বড় স্পেসসহ এমন কিছু আণবিক কাঠামো তৈরি করেছেন, যেগুলোর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন গ্যাস এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ সহজে চলাচল করতে পারে।

এই কাঠামোর নাম হলো ‘মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস’। এগুলো ব্যবহার করে মরুভূমির বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ, কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ধরে রাখা , বিষাক্ত গ্যাস জমিয়ে রাখা এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার কাজও করা যায়।

তাদের বানানো এ কাঠামোতে ধাতব আয়নগুলো কোণার খুঁটির মতো কাজ করে। আর সেগুলোকে যুক্ত করা হয় লম্বা লম্বা জৈব (কার্বন-ভিত্তিক) অণু বা মলিকিউল দিয়ে। এই ধাতব আয়ন ও অণুগুলো একসঙ্গে মিলে এমন একধরনের স্ফটিক তৈরি করে যার ভেতরে অনেক বড় বড় গহ্বর বা ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রযুক্ত পদার্থগুলোকেই মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস (এমএফও) বলা হয়।

এমএফওর জন্য ব্যবহৃত উপাদানগুলো খুব সহজেই রদবদল করা যায়। ফলে রসায়নবিদরা নিজেদের প্রয়োজনমতো কাঠামোটিকে নকশা করতে পারেন। এতে তারা নির্দিষ্ট পদার্থকেই আটকে রাখতে পারেন। এছাড়া এই কাঠামো দিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া ও বিদ্যুৎ পরিবহণ করা যায়।

এদিকে এখন পর্যন্ত রসায়নে ১১৬ বার নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে ২০১৮ সালে ৯৭ বছর বয়সে নোবেল জেতেন জন বি গুডএনাফ। অপরদিকে ১৯৩৫ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে সম্মানজনক এ পদক জেতেন ফেদ্রিক জোলিয়ট।

১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য— এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের নামকরণ হবে তার নামে। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

ঝিনাইদহ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কেন্দ্রে ডাক, যা জানা গেল

রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

Update Time : ০৫:৫৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

 

রসায়নবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য এ বছর নোবেল জিতেছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন সুসুমু কিতাগাওয়া, রিচার্ড রবসন এবং ওমর এম ইয়াগি। ‘মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক’ উদ্ভাবনের কারণে তাদের এ বছর রসায়নে নোবেল দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সুইডিশ অ্যাকাডেমি।

সুসুমু কিতাগাওয়া জাপানের কিউটো বিশ্ববিদ্যালয়, রিচার্ড রবসন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওমার এম ইয়াগি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

নোবেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ তিনজন বড় স্পেসসহ এমন কিছু আণবিক কাঠামো তৈরি করেছেন, যেগুলোর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন গ্যাস এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ সহজে চলাচল করতে পারে।

এই কাঠামোর নাম হলো ‘মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস’। এগুলো ব্যবহার করে মরুভূমির বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ, কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ধরে রাখা , বিষাক্ত গ্যাস জমিয়ে রাখা এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার কাজও করা যায়।

তাদের বানানো এ কাঠামোতে ধাতব আয়নগুলো কোণার খুঁটির মতো কাজ করে। আর সেগুলোকে যুক্ত করা হয় লম্বা লম্বা জৈব (কার্বন-ভিত্তিক) অণু বা মলিকিউল দিয়ে। এই ধাতব আয়ন ও অণুগুলো একসঙ্গে মিলে এমন একধরনের স্ফটিক তৈরি করে যার ভেতরে অনেক বড় বড় গহ্বর বা ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রযুক্ত পদার্থগুলোকেই মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস (এমএফও) বলা হয়।

এমএফওর জন্য ব্যবহৃত উপাদানগুলো খুব সহজেই রদবদল করা যায়। ফলে রসায়নবিদরা নিজেদের প্রয়োজনমতো কাঠামোটিকে নকশা করতে পারেন। এতে তারা নির্দিষ্ট পদার্থকেই আটকে রাখতে পারেন। এছাড়া এই কাঠামো দিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়া ও বিদ্যুৎ পরিবহণ করা যায়।

এদিকে এখন পর্যন্ত রসায়নে ১১৬ বার নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে ২০১৮ সালে ৯৭ বছর বয়সে নোবেল জেতেন জন বি গুডএনাফ। অপরদিকে ১৯৩৫ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে সম্মানজনক এ পদক জেতেন ফেদ্রিক জোলিয়ট।

১৯০১ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নাম অনুসারে। ঊনবিংশ শতকের এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলেন। তিনি উইল করে গিয়েছিলেন যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য— এই ৫টি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারের নামকরণ হবে তার নামে। ১৯৬৯ সাল থেকে এই ৫ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।

সবুজদেশ/এসএএস