ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর প্রধান সড়কে চলবে না লেগুনা: ডিএমপি

Reporter Name

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঢাকা মহানগরের রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ডিএমপি। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যত দিন শৃঙ্খলা ফিরে না আসবে, তত দিন পুলিশ কাজ করে যাবে। রাজধানীতে প্রধান সড়কগুলোয় লেগুনা চলবে না বলে জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের পাশাপাশি রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকেরা পুলিশের সঙ্গে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল আরোহী যাঁদের হেলমেট থাকবে না, তাঁদের তেল দেওয়া হবে না।

বাসস্টপ নির্ধারণের জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেখানে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ চলছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সড়কে যত্রতত্র বাস থামানো যাবে না। বাস থামানোর জন্য আমরা স্টপেজ নির্ধারণ করে দেব। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজে যাওয়ার পথে কোথাও বাস থামানো যাবে না এবং বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। যেসব গাড়ি বিশেষ সুবিধা আদায়ের জন্য অবৈধভাবে পতাকা ব্যবহার করে, তাদের পতাকা নামিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। না হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘পেট্রলপাম্পগুলোর মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি, মোটরসাইকেলে যাঁদের হেলমেট থাকবে না, তাঁদের তেল দেওয়া হবে না। মোটরসাইকেলে তিনজন যাত্রী উঠতে পারবেন না। যাত্রীকে অবশ্যই হেলমেট পরতে হবে। ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রাক্রসিং ও আন্ডারপাস ছাড়া রাস্তা পার হওয়া যাবে না।’ তিনি জানান, রিকশার শৃঙ্খলা আনার জন্য ঢাকা শহরের নিবন্ধন নেই—এমন রিকশা চলতে দেওয়া হবে না। বাসের মধ্যে চালকের মোবাইল নম্বর ও ছবি টাঙিয়ে রাখতে হবে। বাসের চালকদের চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, বেতনভুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক চালককে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখার আহ্বান জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ছয় মাসে চালক ও যানবাহনের বিরুদ্ধে ৬ লাখ ২৬ হাজার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও দেখে এক বছরে ৯৯ লাখ মামলা করা হয়েছে। ঈদের আগে যে ১০ দিন ট্রাফিক সপ্তাহ ছিল, ওই সময়ে ৮৮ হাজার ২৯৩ মামলায় ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ট্রাফিক আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চাপ বা প্রভাব বিবেচনা করা হবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ হবে। আইন না মানাই আইনে পরিণত হয়েছে। এটা এক দিনে তৈরি হয়নি। এটা ভাঙতে সময় লাগবে। তিনি সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দখল হওয়া ফুটপাত মুক্ত করার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজউক ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বসে ঢাকার বিভিন্ন দখল হওয়া ফুটপাত উদ্ধার করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গুজব ছড়িয়ে যাঁরা সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৩:৪৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৮২৪ Time View

রাজধানীর প্রধান সড়কে চলবে না লেগুনা: ডিএমপি

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ঢাকা মহানগরের রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ডিএমপি। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যত দিন শৃঙ্খলা ফিরে না আসবে, তত দিন পুলিশ কাজ করে যাবে। রাজধানীতে প্রধান সড়কগুলোয় লেগুনা চলবে না বলে জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের পাশাপাশি রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকেরা পুলিশের সঙ্গে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল আরোহী যাঁদের হেলমেট থাকবে না, তাঁদের তেল দেওয়া হবে না।

বাসস্টপ নির্ধারণের জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সেখানে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজ চলছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সড়কে যত্রতত্র বাস থামানো যাবে না। বাস থামানোর জন্য আমরা স্টপেজ নির্ধারণ করে দেব। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজে যাওয়ার পথে কোথাও বাস থামানো যাবে না এবং বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। যেসব গাড়ি বিশেষ সুবিধা আদায়ের জন্য অবৈধভাবে পতাকা ব্যবহার করে, তাদের পতাকা নামিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। না হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘পেট্রলপাম্পগুলোর মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি, মোটরসাইকেলে যাঁদের হেলমেট থাকবে না, তাঁদের তেল দেওয়া হবে না। মোটরসাইকেলে তিনজন যাত্রী উঠতে পারবেন না। যাত্রীকে অবশ্যই হেলমেট পরতে হবে। ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রাক্রসিং ও আন্ডারপাস ছাড়া রাস্তা পার হওয়া যাবে না।’ তিনি জানান, রিকশার শৃঙ্খলা আনার জন্য ঢাকা শহরের নিবন্ধন নেই—এমন রিকশা চলতে দেওয়া হবে না। বাসের মধ্যে চালকের মোবাইল নম্বর ও ছবি টাঙিয়ে রাখতে হবে। বাসের চালকদের চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, বেতনভুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক চালককে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখার আহ্বান জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ছয় মাসে চালক ও যানবাহনের বিরুদ্ধে ৬ লাখ ২৬ হাজার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও দেখে এক বছরে ৯৯ লাখ মামলা করা হয়েছে। ঈদের আগে যে ১০ দিন ট্রাফিক সপ্তাহ ছিল, ওই সময়ে ৮৮ হাজার ২৯৩ মামলায় ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ট্রাফিক আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চাপ বা প্রভাব বিবেচনা করা হবে না জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ হবে। আইন না মানাই আইনে পরিণত হয়েছে। এটা এক দিনে তৈরি হয়নি। এটা ভাঙতে সময় লাগবে। তিনি সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দখল হওয়া ফুটপাত মুক্ত করার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজউক ও সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বসে ঢাকার বিভিন্ন দখল হওয়া ফুটপাত উদ্ধার করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গুজব ছড়িয়ে যাঁরা সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।