ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাতেই স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৯:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে।

ফাইল ছবি

 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আজ (বৃহস্পতিবার) রাতেই ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, আমেরিকার নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার আজ (২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় প্রচারিত বার্তায় জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র। এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের উপকূলের পূর্ব দিকে এবং কলকাতা শহর থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বয়ে যেতে পারে বলে রেকর্ড করা হয়েছে।

আজ রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় শক্তি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশার মধ্যবর্তী উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। তবে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনো একে ‘গভীর নিম্নচাপ’ হিসেবেই বিবেচনা করছে।

ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লেখ্য, এখনো বাংলাদেশ ও ভারতে বর্ষা মৌসুম চলমান। সাধারণত বর্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় না। তাই বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার আগে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় শক্তির সৃষ্টি হওয়া একেবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

রাতেই স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’

Update Time : ০৯:৫৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫

 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আজ (বৃহস্পতিবার) রাতেই ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, আমেরিকার নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার আজ (২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় প্রচারিত বার্তায় জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র। এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের উপকূলের পূর্ব দিকে এবং কলকাতা শহর থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বয়ে যেতে পারে বলে রেকর্ড করা হয়েছে।

আজ রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় শক্তি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশার মধ্যবর্তী উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। তবে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনো একে ‘গভীর নিম্নচাপ’ হিসেবেই বিবেচনা করছে।

ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

উল্লেখ্য, এখনো বাংলাদেশ ও ভারতে বর্ষা মৌসুম চলমান। সাধারণত বর্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় না। তাই বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার আগে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় শক্তির সৃষ্টি হওয়া একেবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা।

সবুজদেশ/এসএএস