ফাইল ছবি

ঢাকাঃ

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। এর আগে টানা তিন সপ্তাহ নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শেষ দিনে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।

এদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই ঢাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মাঠে নেমেছে র‌্যাব ও ৬৫ প্লাটুন বিজিবি। বিজিবি সদস্যরা সকাল ৯টা থেকে দুই সিটির বিভিন্ন কেন্দ্রে এবং রাস্তায় টহল দেয়া শুরু করেছেন। তারা ভোটের পরদিন পর্যন্ত রাজধানীর নিরাপত্তায় থাকবেন বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।

এদিকে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হবে নির্বাচনি সরঞ্জাম। ভোট নির্বিঘ্ন করতে নির্বাচনের মাঠ এখন, আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি ও র‍্যাব থাকছে। এর পাশাপাশি থাকছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা। এবারের নির্বাচনে সব বাহিনী মিলে মোট ৫০ হাজারের মতো ফোর্স নিয়োজিত থাকবে।

নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নেমেছে। তারা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।

গত কয়েক দিনের গণসংযোগে দুই একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া মোটামুটি নির্বিঘ্নেই প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। ইভিএম ও নির্বাচনের আনুষঙ্গিক মালামাল রাজধানীর আটটি ভেন্যু থেকে বিতরণ শুরু হয়েছে।

৫৪ লাখ ভোটারের এই ঢাকা নগরীর বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে থাকছে বিশেষ তল্লাশি চৌকি। অবৈধ অস্ত্র, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ধরতে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান। নির্বাচন কমিশন বলছে, অবৈধ অস্ত্রধারী ও বহিরাগতদের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে কমিশন।

ইসি জানায়, সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, বিজিবি ও র‌্যাব। ইভিএমের কারিগরি সহায়তায় প্রতি ভোটকেন্দ্রে দুইজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োগ থাকবে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি। এই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। এখানে ভোটকেন্দ্র রয়েছে এক হাজার ৩১৮টি ও ভোটকক্ষের সংখ্যা সাত হাজার ৮৪৬টি।

আর উত্তর সিটি কর্পোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে এক হাজার ১৫০টি।

এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হচ্ছে। আর শুক্রবার রাত থেকে যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here