রাষ্ট্রপতির অনুমোদন না নিয়েই সড়ক পরিবহন বিল ২০১৮ সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। পরে সংসদ সচিবালয় থেকে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে বিলটি নতুন করে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সংবিধান অনুযায়ী, কোনো বিল আইনে পরিণত হলে তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয়ের সম্ভাবনা থাকলে সেই বিল সংসদে উত্থাপনের আগে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিতে হয়। সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখা পর্যালোচনা করে দেখেছে যে, সড়ক পরিবহন বিলের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বিষয়টি তারা মৌখিকভাবে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে এবং নতুন করে বিলের নোটিশ পাঠাতে বলেছে।

আইন অনুযায়ী প্রস্তাবিত কোনো আইন সংসদে উত্থাপনের আগে আইন মন্ত্রণালয় তা যাচাই-বাছাই করে থাকে। আইনে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে তারা তা শুধরে দেয়।

এ বিষয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এ ক্ষেত্রে ভুলটি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। তবে সেটা বড় ধরনের কোনো ভুল নয়। কারণ অধিবেশন শুরু হতে এখনো কয়েক দিন বাকি। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে বিলটি সংসদে পাঠানো সম্ভব।

সময়ের বিবেচনায় সড়ক পরিবহন বিল ২০১৮ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল। গত ২৯ জুলাই ঢাকার শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী আবদুল করিম রাজীব ও দিয়া খানম বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়। পরদিন থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে। এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন আইনের প্রস্তাব করা হয়।

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের অধিবেশন বসছে এবং এটিই হতে পারে এই সংসদের শেষ অধিবেশন। কারণ নভেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, এই অধিবেশনে পাসের জন্য এখন পর্যন্ত তাদের কাছে ২১টি বিল রয়েছে। শেষ অধিবেশন বিবেচনা করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আরও বেশ কয়েকটি বিল আসতে পারে। ২১টি বিলের মধ্যে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ শেষে পাসের অপেক্ষায় আছে তিনটি বিল। নয়টি বিল যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সংসদীয় কমিটিতে আছে। বাকি নয়টি বিল আছে উত্থাপনের অপেক্ষায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here