নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাটাবাড়ীয়া নিজ গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এর আগে নিজ বাড়িতে তার নামাযের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের নাটাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত পুটি মন্ডলের ৭তম ছেলের মধ্যে চতুর্থ। মৃত্যু কালে স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
দাফনের আগে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এসময় শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর আহমেদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবার থেকে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে ফুসফুসের জটিল রোগে ভুবছিলেন তিনি। হঠাৎ করে বেশি অসুস্থ হয়ে গেলে ঢাকায় সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে শুক্রবার ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন সন্তানেরা।
উল্লেখ্য, হলিধানী ইউনিয়নে ৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধের মধ্যে নাটাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত পুটি মন্ডলের দুই ছেলে, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন। তারা ছিলেন হলিধানী ইউনিয়নের গর্ব। এছাড়াও ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এবং ঢাকা পোস্ট- এর ঝিনাইদহ প্রতিনিধ, ও দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন-এর দাদা-দের মধ্যে ৪থ।