স্টাফ রিপোটার কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)॥
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ টু কোলাবাজারের রাস্তাটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি সংস্কার না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তাদিয়ে চলাচল করছে যানবাহনসহ এ এলাকার মানুষ।
রাস্তাটি নির্মাণের পর থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কোলাবাজার এলাকার সকল জনসাধারণের উপজেলার সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একমাত্র রাস্তা এটি। এছাড়াও প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে শতশত রিকাশা, ভ্যান, ইাজবাইক, ভডভডি, নসিমন, করিমন, সিএনজি, গরুরগাড়ি ও কোম্পানীর পিক-আপ ভ্যানসহ বিভিন্ন রকমের মোটরযান চলাচল করে।
কোলাবাজারের ধান ব্যবসায়ীদের ধানসহ সকল পণ্য ভারী ট্রাকযোগে এ রাস্তা দিয়ে পরিবহন করতে হয়। রাস্তার প্রায় জায়গায় পিচ, পাথর ও খোয়া কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় বড় বড় খানাখন্দক সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই বৃষ্টির পানি জমে এসব মরণ ফাঁদে পরিণত হয় রাস্তাটি। উপজেলার সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি।
তারপর কোলাবাজারের সন্ন্যিকটে একটি কালভার্ট ভেঙ্গে দির্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউ এই বিষটি আমলে নিচ্ছেন না। ব্রীজটির প্রায় অর্ধেক ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় থাকলেও কোন লাভ হচ্ছে না স্থানীয় ভুক্তভোগীদের। এই কালভার্টটি কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেনের বাড়ির নিকটে। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি মরন ফাদে পরিনত হলেও মেরামতের জন্য নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। ভেঙ্গে যাবার পর থেকে নিজেদের উদ্যোগে ঐ স্থানে গাছের ডাল দিয়ে বিপদজনক সংকেতিক চিহ্ন দিলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। উপজেলার বলরামপুর, গোপালপুর, কোলা, কাবিলপুর, ঘোষপাড়া, দুধরাজপুর, বারোপাখিয়া, চোকাউতলা, রামচন্দ্রপুর গ্রামসহ কয়েক হাজার লোক মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। এ সব এলাকার স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। রাস্তাটি ভেঙ্গে খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় চলাচলকৃত যাত্রীবাহি যানবাহন প্রায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে অনেকেই আহত হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালীগঞ্জ টু কোলাবাজার জনগুরুত্বপূর্ন এ রাস্তাটি কালীগঞ্জ থেকেক শুরু হয়ে কোলাবাজার পর্যন্ত প্রায় জায়গায়ই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৫ জন পথচারী নারী-পুরুষ ভাঙ্গা স্থানে পড়ে আহত হয়েছে। সামনে কয়েকদিন পর আসছে মুসলমান ধর্মের বড় উৎসব ঈদুল ফেতর, এলাকাবাসি কোলাবাজার ও কালীগঞ্জ শহরে কেনাকাটার জন্য আসা যাওয়া করবে। দুর-দুরান্তেরর মানুষের চলাচলের ব্যস্ততা ও বৃদ্ধি পাবে নারি পুরুষদের। আবার কোলাবাজার একটি বড় বাজার এখানে রয়েছে বিশাল ধানের হাট, এ ধান দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়ে থাকে।
এ রাস্তা দিয়ে সর্বনি¤œ ২০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে প্রতিনিয়ত। কালীগঞ্জ কোলাবাজার সড়কটি অতিব্যস্ততম, এ বাজারে রয়েছে বড় ধানের হাটের পাশাপাশি কাচা মালের হাট, কলেজ, হাইস্কুল, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটির বেহালদশা গত কয়েক মাস ধরে। বিশেষ করে গত বর্ষার মৌসুমে রাস্তাটি আরও ভেঙ্গে যায়। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে এখানে বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here