সবুজদেশ ডেক্সঃ ‘ফরমায়েশি’ ও ‘প্রতিহিংসার’ রায় উল্লেখ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বুধবার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রায় প্রত্যাখ্যান করার কথা জানান।

বিএনপির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার পর দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে কাল ১১ অক্টোবর ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। ১৩ অক্টোবর ছাত্রদলের সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল, ১৪ অক্টোবর যুবদলের সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল, ১৫ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক দলের সারা দেশে বিক্ষোভ। ১৬ অক্টোবর বিএনপি ঢাকাসহ সারা দেশে কালো পতাকা মিছিল করবে। এ ছাড়া ১৭ অক্টোবর মহিলা দল ঢাকাসহ সারা দেশে মানববন্ধন ও ১৮ অক্টোবর শ্রমিক দল ঢাকাসহ সারা দেশে মানববন্ধন করবে।

এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ক্ষমতাসীনদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ রায় দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি মনে করে, এ রায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রায়। আমরা এ রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নোংরা প্রকাশ।’

ফখরুল ইসলাম বলেন, জাতির জন্য দুর্ভাগ্য—এ রায়ের মাধ্যমে সরকার আরও একটি নোংরা প্রতিহিংসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। যেভাবে ‘মিথ্যা’ মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেভাবে আরেকটি ‘মিথ্যা’ মামলায় বিএনপির নেতাদের সাজা দেওয়া হলো।

বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন সাজার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো এ দেশে সাধারণ কোনো মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন সাবজেলে ছিলেন, তখন মামলার সাক্ষী তারেক রহমান বা বিএনপির কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তখন তিনি এ ঘটনার জন্য সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করেছেন। অথচ ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অবসরে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দকে নিয়োগ দিয়ে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কথা বলতে হয়, যে দেশে প্রধান বিচারপতি ন্যায়বিচার পান না, সে দেশে নাগরিকদের ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা করা যায় না। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের জনগণকে আহ্বান জানাব রাজপথে এসে এ অনির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে।’

কোনো কর্মসূচি দেবেন কি না, তা জানতে চাইলে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে, পাশাপাশি আইনি কর্মসূচিও থাকবে। তবে সেটি পরে জানতে পারবেন।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here