ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপপুরের বালিশকে হার মানিয়েছে ফরিদপুরের পর্দা: মির্জা ফখরুল

Reporter Name

ঢাকাঃ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রূপপুরের বালিশকে হার মানিয়েছে ফরিদপুরের ৩৭ লাখ টাকা দামের একটি পর্দা। দুর্নীতিতে আজ বালিশ পর্দার কাছে হেরে গেছে। এই হচ্ছে দেশের বর্তমান অবস্থা। চারদিকে চলছে শুধু লুটপাট। 

শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইফুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাইফুর রহমানের সময় সামষ্টিক অর্থনীতি সবচেয়ে ভাল ছিল। তিনি কথায় কথায় ব্যাংক দেননি। তখন কয়েকটি প্রাইভেট ব্যাংক ছিল। তার ওপর খুব চাপ ছিল, চতুর্দিক থেকে চাপ ছিল যে নতুন ব্যাংক দিতে হবে। এনিয়ে আমাদের অনেকেই বিক্ষুব্ধ ছিলেন। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, আমিতো এটাকে একটা লুটেরা অর্থনীতিতে পরিণত করতে পারি না। আজকে প্রমাণিত হয়েছে, এই যে এরা ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংক দিয়েছে, সব মুখ থুবড়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, আজকের পত্রিকায় এসেছে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, হলমার্ককে আবার সুযোগ দেয়া হবে। অর্থাৎ লুটেরা অর্থনীতিকে আবার লুটেরাদের হাতে দেয়া হবে। এটাই এদের মূল চরিত্র। এদের চরিত্রই হচ্ছে লুট করা। চারদিকে সব লুট করছে। এমনভাবে লুট করছে, দেশটা একটা ফোকলা দেশে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, সাইফুর রহমান দেশপ্রেমিক ছিলেন। দেশকে ভাল বাসতেন। সেজন্য নিজে লাভবান হওয়ার জন্য বা দলের লোকদের লাভবান করার জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেননি। এটা খুব বড় কথা, দেশ বিক্রি করে দেননি। আজকে সাইফুর রহমান থাকলে ওই রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতো না। রূপপুরের আনবিক প্ল্যান্ট এভাবে তৈরি হতো না। ফরিদপুরে ৩৭ লাখ টাকা একটা পর্দা!  বালিশ কোথায়, বালিশতো হেরে গেছে। এই হচ্ছে এখন অবস্থা। চতুর্দিকে শুধু লুট। 

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে দুর্ভিক্ষ নিয়ে এসেছিল। খাদ্য উৎপাদন একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল। মানুষের অভাব এমন পর্যায়ে গিয়েছিল ঠিকমতো কাপড়ও পরতে পারতো না। আমাদের মনে আছে কুড়িগ্রামের বাসন্তী লজ্জা নিবারণের জন্য এক টুকরা কাপড় পায়নি। সেই অর্থনীতিকে পাল্টে দিয়ে আজকে যে সম্ভাবনাময় অর্থনীতি তৈরি করেছে তার ভিত্তিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তিনিই হলেন এই সাইফুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি অর্থনীতির আইডল। এটা আদর্শ, মডেল কিন্তু অতিদ্রুত বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়ে গেছে, এটা একটা ফাঁপা অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। অথচ সাইফুর রহমান, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার সময় এই অর্থনীতি ছিল দৃঢ় অর্থনীতি। তখন ইমার্জিং টাইগার বলা হয়েছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, তখন ইচ্ছে করলেই পুকুর-চুরি মেগা চুরি করা যেত না। দশ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেয়ার সুযোগ ছিল না। আজকে সাইফুর রহমান থাকলে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতো না।

সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান প্রমুখ।

স্মরণসভাটি সঞ্চালনা করেন বিএনপি নেতা কাইয়ুম চৌধুরী।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৩১৫ Time View

রূপপুরের বালিশকে হার মানিয়েছে ফরিদপুরের পর্দা: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঢাকাঃ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রূপপুরের বালিশকে হার মানিয়েছে ফরিদপুরের ৩৭ লাখ টাকা দামের একটি পর্দা। দুর্নীতিতে আজ বালিশ পর্দার কাছে হেরে গেছে। এই হচ্ছে দেশের বর্তমান অবস্থা। চারদিকে চলছে শুধু লুটপাট। 

শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইফুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাইফুর রহমানের সময় সামষ্টিক অর্থনীতি সবচেয়ে ভাল ছিল। তিনি কথায় কথায় ব্যাংক দেননি। তখন কয়েকটি প্রাইভেট ব্যাংক ছিল। তার ওপর খুব চাপ ছিল, চতুর্দিক থেকে চাপ ছিল যে নতুন ব্যাংক দিতে হবে। এনিয়ে আমাদের অনেকেই বিক্ষুব্ধ ছিলেন। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, আমিতো এটাকে একটা লুটেরা অর্থনীতিতে পরিণত করতে পারি না। আজকে প্রমাণিত হয়েছে, এই যে এরা ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংক দিয়েছে, সব মুখ থুবড়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, আজকের পত্রিকায় এসেছে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, হলমার্ককে আবার সুযোগ দেয়া হবে। অর্থাৎ লুটেরা অর্থনীতিকে আবার লুটেরাদের হাতে দেয়া হবে। এটাই এদের মূল চরিত্র। এদের চরিত্রই হচ্ছে লুট করা। চারদিকে সব লুট করছে। এমনভাবে লুট করছে, দেশটা একটা ফোকলা দেশে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, সাইফুর রহমান দেশপ্রেমিক ছিলেন। দেশকে ভাল বাসতেন। সেজন্য নিজে লাভবান হওয়ার জন্য বা দলের লোকদের লাভবান করার জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেননি। এটা খুব বড় কথা, দেশ বিক্রি করে দেননি। আজকে সাইফুর রহমান থাকলে ওই রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হতো না। রূপপুরের আনবিক প্ল্যান্ট এভাবে তৈরি হতো না। ফরিদপুরে ৩৭ লাখ টাকা একটা পর্দা!  বালিশ কোথায়, বালিশতো হেরে গেছে। এই হচ্ছে এখন অবস্থা। চতুর্দিকে শুধু লুট। 

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে দুর্ভিক্ষ নিয়ে এসেছিল। খাদ্য উৎপাদন একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল। মানুষের অভাব এমন পর্যায়ে গিয়েছিল ঠিকমতো কাপড়ও পরতে পারতো না। আমাদের মনে আছে কুড়িগ্রামের বাসন্তী লজ্জা নিবারণের জন্য এক টুকরা কাপড় পায়নি। সেই অর্থনীতিকে পাল্টে দিয়ে আজকে যে সম্ভাবনাময় অর্থনীতি তৈরি করেছে তার ভিত্তিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তিনিই হলেন এই সাইফুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি নাকি অর্থনীতির আইডল। এটা আদর্শ, মডেল কিন্তু অতিদ্রুত বিশ্বের কাছে প্রমাণিত হয়ে গেছে, এটা একটা ফাঁপা অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। অথচ সাইফুর রহমান, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার সময় এই অর্থনীতি ছিল দৃঢ় অর্থনীতি। তখন ইমার্জিং টাইগার বলা হয়েছিল।

মির্জা ফখরুল বলেন, তখন ইচ্ছে করলেই পুকুর-চুরি মেগা চুরি করা যেত না। দশ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেয়ার সুযোগ ছিল না। আজকে সাইফুর রহমান থাকলে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতো না।

সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান প্রমুখ।

স্মরণসভাটি সঞ্চালনা করেন বিএনপি নেতা কাইয়ুম চৌধুরী।