ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিতকে পরাস্ত করে এবাদতের স্যালুট

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মাকে আউট করে সেলুট দিলেন ইবাদত হোসেন। এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২১ রান করার সুযোগ পান রোহিত।

মাত্র ১২ রানেই সাজঘরে ফেরার কথা ছিল রোহিত শর্মার। ভারতীয় এ ওপেনারকে দ্রুত ফেরানোর সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। আবু জায়েদ রাহীর বলে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। কিন্তু আল-আমিনের হাত ফসকে সহজ ক্যাটটি মাটিতে পড়ে যায়। ৩২ রানে ভারতীয় দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরানোর সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া টাইগারদের।

এর আগে দলীয় ২৬ রানে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার আল- আমিন হোসেন। তার গতির শিকার হয়ে মাত্র ১৪ রানে ফেরেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। এর আগে তিনি প্রথম টেস্টে ইন্দোরে বাংলাদেশি বোলারদের শাসিয়ে ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্টে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন।

বাংলাদেশ ১০৬ রানে অলআউট

ভারতের বিপক্ষে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে এটি সর্বনিম্ন রান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন দলীয় রান ছিল ৯১ রান।

অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসের অলআউট হয় ৯১ রানে। ১৯ বছর পর সেই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।

ক্রিকেট বিশ্লেষকদের কাছে প্রকৃত ক্রিকেট হিসেবেই পরিচিত টেস্ট ম্যাচ। টেস্ট ক্রিকেটের মাধ্যমেই কোন একটি দলের খেলার সক্ষমতা যাচাই করা হয়। অথচ ২০০০ সালে স্ট্যাটাস পাওয়া বাংলাদেশ দুই দশকেও রপ্ত করতে পারেনি টেস্ট ক্রিকেট।

ভারত সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম খেলায় ইন্দোরে ইনিংস ও ১৩০ রানে পরাজিত হয়েছিল মুমিমুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে গোলাপি বলে খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি।

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইডেন টেস্টে ভারতীয় ত্রয়ী পেসার ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ সামির গতির মুখে পড়ে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট পতনের কারণে ৩০.৩ ওভারে ১০৬ রানেই অলআউট বাংলাদেশ।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন সাদমান ইসলাম অনিক। এছাড়া ২৪ রান করে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে রিটায়ার্ডহার্ট হয়ে ফেরেন লিটন দাস। ১৯ রান করেন তরুণ পেসার নাইম হাসান।

ভারতীয় পেস বোলারদের তাণ্ডবে রানের খাতা খুলার সুযোগ পাননি অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ, মোহাম্মদ মিঠুন, ও মুশফিকুর রহিম। ভারতের হয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেন ইশান্ত শর্মা। এছাড়া ৩টি উইকেট নেন উমেশ যাদব। ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি।

প্রসঙ্গত, টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর ৪৩ রান। গত বছরের জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নর্থ সাউন্ড স্টেডিয়ামে এ লজ্জার রেকর্ড গড়ে টাইগাররা। এর আগে ২০০৭ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।

২০০৫ সালে সেই কলম্বোয় ৮৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৭ রানে শেষ হয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:১০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯
৪১০ Time View

রোহিতকে পরাস্ত করে এবাদতের স্যালুট

আপডেট সময় : ০৭:১০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মাকে আউট করে সেলুট দিলেন ইবাদত হোসেন। এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ২১ রান করার সুযোগ পান রোহিত।

মাত্র ১২ রানেই সাজঘরে ফেরার কথা ছিল রোহিত শর্মার। ভারতীয় এ ওপেনারকে দ্রুত ফেরানোর সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। আবু জায়েদ রাহীর বলে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। কিন্তু আল-আমিনের হাত ফসকে সহজ ক্যাটটি মাটিতে পড়ে যায়। ৩২ রানে ভারতীয় দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরানোর সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া টাইগারদের।

এর আগে দলীয় ২৬ রানে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার আল- আমিন হোসেন। তার গতির শিকার হয়ে মাত্র ১৪ রানে ফেরেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। এর আগে তিনি প্রথম টেস্টে ইন্দোরে বাংলাদেশি বোলারদের শাসিয়ে ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্টে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন।

বাংলাদেশ ১০৬ রানে অলআউট

ভারতের বিপক্ষে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে এটি সর্বনিম্ন রান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন দলীয় রান ছিল ৯১ রান।

অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসের অলআউট হয় ৯১ রানে। ১৯ বছর পর সেই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।

ক্রিকেট বিশ্লেষকদের কাছে প্রকৃত ক্রিকেট হিসেবেই পরিচিত টেস্ট ম্যাচ। টেস্ট ক্রিকেটের মাধ্যমেই কোন একটি দলের খেলার সক্ষমতা যাচাই করা হয়। অথচ ২০০০ সালে স্ট্যাটাস পাওয়া বাংলাদেশ দুই দশকেও রপ্ত করতে পারেনি টেস্ট ক্রিকেট।

ভারত সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম খেলায় ইন্দোরে ইনিংস ও ১৩০ রানে পরাজিত হয়েছিল মুমিমুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে গোলাপি বলে খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটি।

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইডেন টেস্টে ভারতীয় ত্রয়ী পেসার ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ সামির গতির মুখে পড়ে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট পতনের কারণে ৩০.৩ ওভারে ১০৬ রানেই অলআউট বাংলাদেশ।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন সাদমান ইসলাম অনিক। এছাড়া ২৪ রান করে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে রিটায়ার্ডহার্ট হয়ে ফেরেন লিটন দাস। ১৯ রান করেন তরুণ পেসার নাইম হাসান।

ভারতীয় পেস বোলারদের তাণ্ডবে রানের খাতা খুলার সুযোগ পাননি অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ, মোহাম্মদ মিঠুন, ও মুশফিকুর রহিম। ভারতের হয়ে ৫টি উইকেট শিকার করেন ইশান্ত শর্মা। এছাড়া ৩টি উইকেট নেন উমেশ যাদব। ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি।

প্রসঙ্গত, টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর ৪৩ রান। গত বছরের জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নর্থ সাউন্ড স্টেডিয়ামে এ লজ্জার রেকর্ড গড়ে টাইগাররা। এর আগে ২০০৭ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে ৬২ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।

২০০৫ সালে সেই কলম্বোয় ৮৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৭ রানে শেষ হয়ে যায় টাইগারদের ইনিংস।