সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরা মেডিকেলের সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১১ শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা জরিমনা করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ একাডেমিক কাউন্সিল ও শৃংখলা কমিটি জরুরী সভায় সোমবার (১৬ মার্চ) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সাহা, জয় সরকার, মোহাম্মদ হানিফ, মাহফুজা ইসলাম দিনা, প্রেয়সী রাণী রায়, ফারহা শামান্ত রহমান ও শারমিন ফাহরিয়া।

জানা গেছে, মেডিকেল কলেজে গত ৯, ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি নতুন ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিং করেন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষর্থীরা। নতুন এসব শিক্ষর্থীদের শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করা হয়। বিষয়টি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ১৫ জানুয়ারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. কাজী হাবিবুর রহমান কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারী বিভাগের প্রধান ডা. এএইচ এস.এম কামরুজ্জামান ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. খান গোলাম মোস্তফাকে সদস্য সচিব করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

দীর্ঘ তদন্ত করে গত ৯ মার্চ ১৮ শিক্ষার্থীকে দোষী সাব্যস্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটি। পরবর্তীতে সোমবার (১৬ মার্চ) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল ও শৃংখলা কমিটি একটি জরুরী সভায় অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ১৮ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়। এরমধ্যে সাত শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বাকি ১১ শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. কাজী হাবিবুর রহমান জানান, র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার ছাত্রী ও তিন ছাত্রকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত এসব শিক্ষার্থীদেরকে কলেজ হোস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছে। তাদেরকে একাডেমিক সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ১১ শিক্ষার্থীকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কলেজে যে এ ধরণের কার্যক্রম না হয় সেজন্য সকল শিক্ষার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে। কলেজে কোন ধরনের বিশৃংখলা সহ্য করা হবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here